কুরআনে উল্লেখিত দোয়া
হেদায়েতের উপর টিকে থাকার দোয়া

হে আমাদের প্রভূ! আমাদেরকে সঠিক পথ দেখানোর পর, আপনি আমাদের অন্তর গুলোকে বক্র করবেন না। আর আপনি আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দান করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বাধিক দাতা।

আল ইমরান (আয়াত : 8)

হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে একা (সন্তানহীন) ছেড়ে দিবেন না। আর আপনি উত্তম ওয়ারিছ।

আম্বিয়া (আয়াত : 89)

হে আমাদের প্রভূ! আপনি যা অবতীর্ণ করেছেন, তা আমরা বিশ্বাস করলাম এবং রাসূলের অনুসরণ করলাম। অতএব, আমাদেরকে (সত্যের) সাক্ষ্যদানকারীদের অন্তভূক্ত করুন।

আল ইমরান (আয়াত : 53)

হে আমার প্রভু! আমি আপনার কাছে শয়তানের প্ররোচনা থেকে আশ্রয় চাই এবং আশ্রয় চাই আমি আপনার কাছে শয়তান আমার নিকট উপস্থিত হওয়া থেকে।

আল মু’মিনূন (আয়াত : 97)

হে আমার রব, তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য আমাকে তোমার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও। আর আমি যাতে এমন সৎকাজ করতে পারি যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার অনুগ্রহে তুমি আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর।
 
[হযরত সুলাইমান আ. বাহিনীর অজ্ঞাতসারে তাদের পদতলে পিপীলিকা পিষ্ট হওয়া থেকে এক পিপীলিকার অন্য পিপীলিকার সাবধান করার বিষয়টি আল্লাহর অনুগ্রহে অবগত হয়ে হযরত সুলাইমান আ. আল্লাহর শুকরিয়া স্বরূপ এই দোয়া করেন]
 
নমল (আয়াত : 19)
হে আমাদের রব, আসমান থেকে আমাদের প্রতি খাবারপূর্ণ দস্তরখান নাযিল করুন; এটা আমাদের জন্য ঈদ হবে। আমাদের পূর্ববর্তী ও পরবর্তীদের জন্য। আর আপনার পক্ষ থেকে এক নিদর্শন হবে। আর আমাদেরকে রিয্ক দান করুন, আপনিই শ্রেষ্ঠ রিয্কদাতা।
 
[আল্লাহর দরবারে হযরত ঈসা আ. এর দোয়া]
 
আল মায়েদাহ (আয়াত : 114)
হে আমাদের প্রভূ! আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাদের কে রহমত দান করুন এবং আপনি আমাদের জন্য আমাদের কাজের একটি সঠিক পথ নির্ধারণ করে দিন।
 
[শিরকমুক্ত কতিপয় আসহাবে কাহাফের যুবকরা মুশরিক জাতির চরম অত্যাচার নির্যাতন থেকে মুক্তির জন্য পাহাড়ের গুহায় আশ্রয় নিয়ে আল্লাহর নিকট এই প্রার্থনা করেন]
 
কাহফ (আয়াত : 10)
হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে সম্মানিত স্থানে প্রবেশ করান এবং সম্মানিত স্থান থেকে বের করুন। আর আপনি আমার জন্য আপনার পক্ষ থেকে একটি সাহায্যকারী দলিল স্থাপন করুন।
 
[রাসূল স. মদিনার রাষ্ট্র ক্ষমতা লাভের পূর্বে ইনসাফভিত্তিক সমাজ এবং রাষ্ট্র কায়েমের জন্য আল্লাহর কাছে এই দোয়া করেন]
 
বনী ইসরাঈল (আয়াত : 80)
পবিত্র-মহান সেই সত্তা যিনি এগুলোকে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন। আর আমরা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম ছিলাম না’। আর নিশ্চয় আমরা আমাদের রবের কাছেই প্রত্যাবর্তনকারী।
 
আয্‌-যুখরুফ (আয়াত : 13)
হে আকাশ ও যমীনের স্রষ্টা! আপনি আমার অভিভাবক দুনিয়া ও পরকালে। আপনি আমাকে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দান করুন এবং সৎ লোকদের সাথে আমাকে সম্পৃক্ত করুন।
 
[ইউসুফ আ. কে আল্লাহ তাআলা রাজ্য ক্ষমতা প্রদান এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে সম্মানিত করায় তিনি আল্লাহর শুকরিয়া স্বরূপ এই দোয়া করেন]
 
ইউসূফ (আয়াত : 101)
হে আমার রব, আপনি চাইলে ইতঃপূর্বে এদের ধ্বংস করতে পারতেন এবং আমাকেও। আমাদের মধ্যে নির্বোধরা যা করেছে তার কারণে কি আমাদেরকে ধ্বংস করবেন? এটাতো আপনার পরীক্ষা ছাড়া কিছু না। এর মাধ্যমে যাকে চান আপনি পথভ্রষ্ট করেন এবং যাকে চান হিদায়াত দান করেন। আপনি আমাদের অভিভাবক। সুতরাং আমাদের ক্ষমা করে দিন এবং আপনি উত্তম ক্ষমাশীল। আর আমাদের জন্য এ দুনিয়াতে ও আখিরাতে কল্যাণ লিখে দিন। নিশ্চয় আমরা আপনার দিকে প্রত্যাবর্তন করেছি।
 
[মুসা আর তাঁর জাতির মধ্য থেকে বাছাই করা সত্তর ব্যক্তিকে নিয়ে আল্লাহর নির্ধারিত স্থানের দিকে অগ্রসর হয়ে ভুমিকম্পে আক্রান্ত হলে এই দোয়া পড়েন]
 
আল আ’রাফ (আয়াত : 155)
হে আমার রব! আমার হাড়গুলো দুর্বল হয়ে গেছে এবং বার্ধক্যবশতঃ আমার মাথার চুলগুলো সাদা হয়ে গেছে। হে আমার রব, আপনার নিকট দো‘আ করে আমি কখনো ব্যর্থ হইনি। আর আমার পরে স্বগোত্রীয়দের সম্পর্কে আমি আশংকাবোধ করছি। আমার স্ত্রী তো বন্ধ্যা, অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ থেকে একজন উত্তরাধিকারী দান করুন।
 
[বন্ধ্যা স্ত্রীর জন্য নেক সন্তানের আশায় আল্লাহর নিকট হযরত জাকারিয়া আ. এর দোয়া]
 
মারইয়াম (আয়াত : 4)
আপনি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। আপনি পবিত্র। নিশ্চয় আমি জালেমদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম।
 
[মাছের পেটে অন্ধকারে থাকাকালীন হযরত ইউনুস আ. এর আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা]
 
আম্বিয়া (আয়াত : 87)
হে আমার প্রভু! আপনি তাদের উভয়ের (মাতাপিতা) প্রতি রহম করুন যেরকম তারা আমাকে শিশুকালে রহম করেছিল।
 
বনী ইসরাঈল (আয়াত : 24)
হে আমাদের প্রভূ! আমরা আমাদের উপরে জুলুম করেছি। যদি আপনি আমাদের ক্ষমা না করেন, আমাদের প্রতি দয়া না করেন, তাহলে অবশ্যই আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।
 
[শয়তানের প্ররোচনায় জান্নাতের নিষিদ্ধ গাছের ফল ভক্ষণের পর হযরত আদম আ. এবং মা হাওয়া আ. এর অনুশোচনামূলক দোয়া]
 
আল আ’রাফ (আয়াত : 23)
হে আমার রব, আমাকে প্রজ্ঞা দান করুন এবং আমাকে সৎকর্মশীলদের সাথে শামিল করে দিন এবং পরবর্তীদের মধ্যে আমার সুনাম-সুখ্যাতি অব্যাহত রাখুন। আর আপনি আমাকে সুখময় জান্নাতের ওয়ারিসদের অন্তর্ভুক্ত করুন। যেদিন পুনরুত্থান করানো হবে, সেদিন আপনি আমাকে অপমানিত করবেন না।
 
[হযরত ইব্রাহীম আ. এর দোয়া]
 
আশ-শো’আরা (আয়াত : 83)
হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে সুযোগ দিন আমি নেয়ামতের শুকর আদায় করার যেগুলো আপনি আমাকে ও আমার মাতাপিতা কে দান করেছেন। আরো সু্যোগ দিন এমন সৎকাজ করার যার প্রতি আপনি সন্তুষ্ট হবেন। আপনি আমার সন্তানদের সংশোধন করুন। নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে তাওবা করলাম। আর আমি তো মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।
 
আল আহ্‌ক্বাফ (আয়াত : 15)
হে আমাদের প্রভূ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার মাতা-পিতাকে এবং মুমিনদেরকে, যেদিন হিসাব কায়েম হবে।
 
[হযরত ইব্রাহীম আ. নিজকে, পিতা-মাতা এবং সমগ্র মুসলিম জাতিকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে এই দোয়া করেন]
 
ইব্রাহীম (আয়াত : 41)
হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে নামাজ কায়েমকারী বানান এবং আমার সন্তানদের মধ্যে থেকেও। হে আমাদের প্রভূ! আপনি আমার দোয়া কবুল করুন।
 
[হযরত ইব্রাহীম আ. নিজেকে এবং বংশধরদের সালাত কায়েমকারী হিসেবে কবুল করার জন্য আল্লাহর কাছে এ দোয়া করেন।]
 
ইব্রাহীম (আয়াত : 40)
হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমাকে নেক সন্তান দান করুন।
 
[নেক সন্তান লাভের জন্য আল্লাহর নিকট হযরত ইব্রাহীম আ. এর দোয়া]
 
আস-সাফফাত (আয়াত : 100)
 
হে আমর রব, আমাকে আপনার পক্ষ থেকে উত্তম সন্তান দান করুন। নিশ্চয় আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী।
 
[হযরত জাকারিয়া আ. আল্লাহর কাছে নেক সন্তান প্রাপ্তির জন্য এ দোয়া করেন]
 
আল ইমরান (আয়াত : 38)
আল্লাহর আশ্রয় (চাই)। নিশ্চয় তিনি আমার মনিব, তিনি আমার থাকার সুন্দর ব্যবস্থা করেছেন। নিশ্চয় যালিমগণ সফল হয় না।
 
[আজিজে মিশরের স্ত্রী ইউসুফ আ. কে তার দিকে আকৃষ্ট করতে চাইলে ইউসূফ আ. ওই মুহূর্তে এভাবে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করেন]
 
ইউসূফ (আয়াত : 23)
এর চলা ও থামা হবে আল্লাহর নামে। নিশ্চয় আমার রব অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
 
[নৌকায় আরোহনের সময় নুহ আ. এর দোয়া]
 
হুদ (আয়াত : 41)
হে আমার রব, আপনি একে নিরাপদ নগরী বানান এবং এর অধিবাসীদেরকে ফল-মুলের রিযক দিন যারা আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি ঈমান এনেছে।
 
[মক্কা নগরী এবং তার অধিবাসীদের জন্য ইব্রাহীম আ. এর দোয়া]
 
আল বাক্বারাহ (আয়াত : 126)
হে আমাদের প্রভু! আমাদের গুণাহগুলো আপনি ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের অপরাধ গুলো মার্জনা করে দিন। আর আমাদের মৃত্যু দিন নেক বান্দাদের সঙ্গে শামিল করে
 
আল ইমরান (আয়াত : 193)
হে আমার রব, আপনি এ শহরকে নিরাপদ করে দিন এবং আমাকে ও আমার সন্তানদেরকে মূর্তি পূজা থেকে দূরে রাখুন।
 
[হযরত ইব্রাহীম আ. এবং তাঁর সন্তানদের মুর্তিপূজা থেকে রক্ষার্থে এই দোয়া করেন।]
 
ইব্রাহীম (আয়াত : 35)
 
হে আমার রব, তারা যা করছে, তা থেকে আমাকে ও আমার পরিবার-পরিজনকে তুমি রক্ষা কর।
 
[জাতির কুকর্মের দায় থেকে নিজেকে এবং পরিবারকে রক্ষার জন্য আল্লাহর নিকট লুত আ. এর দোয়া]
 
আশ-শো’আরা (আয়াত : 169)
আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদের উপর ধৈর্য ঢেলে দিন, এবং আমাদেরকে মুসলিম অবস্থায় মৃত্যু দান করুন
 
[ফেরাউন কতৃক নিযুক্ত জাদুকরগণ মুসা আ. এর মোজেজা দেখে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করেন]
 
আল আ’রাফ (আয়াত : 126)
হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদেরকে ইহকালে ও পরকালে কল্যাণ দান করুন আর জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।
 
আল বাক্বারাহ (আয়াত : 201)
আমি দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়েছি। আর আপনি তো করুণাময়ের শ্রেষ্ঠ করুণাময়।
 
[দুঃখ-কষ্ট ও রোগ যন্ত্রনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে আইয়ুব আ. আল্লাহর কাছে এই দোয়া করেন। আল্লাহ তার দোয়া কবুল করে সুস্থতা ও সম্পদ দান করেন।]
 
আম্বিয়া (আয়াত : 83)
হে আমার প্রভু! আপনি আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।
 
[ওহী মুখস্থকরণে তাড়াহুড়া না করে জ্ঞান বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা লাভের জন্য আল্লাহ তাআলা রাসূল স. কে এরূপ দোয়ার নির্দেশনা দেন।]
 
ত্বোয়া-হা (আয়াত : 114)
হে আমাদের পালনকর্তা! আপনি আমাদের নূরকে আমাদের জন্য পরিপূর্ণ করে দিন। আর আমাদেরকে ক্ষমা করুন নিশ্চয় আপনি সব বিষয়ে ক্ষমতাবান।
 
[কিয়ামতের দিন ঈমানদাররা তাদের চূড়ান্ত পুরস্কার জান্নাত প্রাপ্তির লক্ষ্যে আল্লাহর সাহায্য কামনায় এরূপ দোয়া করবে।]
 
আত-তাহরীম (আয়াত : 8)
হে আমার রব, আপনি যালিম কওম থেকে আমাকে রক্ষা করুন।
 
[জালিম ফেরাউন সম্প্রদায় থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট মুসা আ. এর ফরিয়াদ।]
 
আল কাসাস (আয়াত : 21)
হে আমাদের প্রভূ! আপনি আমাদের থেকে ফিরিয়ে নিন জাহান্নামের শাস্তি। নিশ্চয়ই জাহান্নামের শাস্তি খুবই ভয়ানক। আর তা নিতান্তই নিকৃষ্ট বাসস্থান।
 
আল-ফুরকান (আয়াত : 65)
হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।
 
আন নিসা (আয়াত : 75)
হে আমাদের পালনকর্তা! ইহা (পৃথিবী) আপনি অযথা সৃষ্টি করেন নাই। আপনি পবিত্র। অতএব আপনি আমাদেরকে জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
 
আল ইমরান (আয়াত : 191)
হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী দলের বিরুদ্ধে সাহায্য করুন।
 
[হযরত লুত আ. এর জাতির কুকর্মের বিরূদ্ধে তাদের বিরুদ্ধে সাহায্য কামনার দোয়া।]
 
আল আনকাবুত (আয়াত : 30)
হে আমার রব, আমার কওম আমাকে অস্বীকার করেছে, সুতরাং আপনি আমার ও তাদের মধ্যে ফয়সালা করে দিন আর আমাকে ও আমার সাথে যেসব মুমিন, আছে তাদেরকে রক্ষা করুন।
 
[নুহ আ. এর কওমের লোকেরা তাকে প্রস্তরাঘাতের হুমকি প্রদান করলে নুহ আ. আল্লাহর দরবারে এই প্রার্থনা করেন।]
 
আশ-শো’আরা (আয়াত : 117)
আমি মূর্খদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে আল্লাহর আশ্রয় চাচ্ছি।
 
আল বাক্বারাহ (আয়াত : 67)
হে আমার রব, তাহলে আমাকে যালিম সম্প্রদায়ভুক্ত করবেন না।
 
আল মু’মিনূন (আয়াত : 94)
 
হে আমাদের রব, আমাদেরকে যালিম কওমের অন্তর্ভুক্ত করবেন না
 
[জান্নাত ও জাহান্নামের মধ্যবর্তী আরাফে অবস্থানকারীরা জাহান্নামীদের দিকে দৃষ্টি পড়ামাত্র আল্লাহর নিকট এরূপ দোয়া করবে]
 
আল আ’রাফ (আয়াত : 47)
হে আমাদের প্রভূ! আপনি আমাদেরকে আমাদের স্ত্রীদের ও সন্তান-সন্ততিদের চোখের শীতলতা স্বরুপ দান করুন। আর আমাদেরকে মোত্তাকি লোকদের নেতা বানান।
 
আল-ফুরকান (আয়াত : 74)
হে আমাদের প্রভূ! আমরা ঈমান এনেছি। অতএব, আপনি আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন। আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনিই সর্বোত্তম দয়াশীল।
 
আল মু’মিনূন (আয়াত : 109)
 
হে আমাদের প্রভূ! নিশ্চয়ই আমরা ঈমান এনেছি। অতএব আপনি আমাদের গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দিন এবং আমাদেরকে রক্ষা করুন জাহান্নামের শাস্তি থেকে।
 
আল ইমরান (আয়াত : 16)
 
হে আমাদের প্রভূ! আপনি আমাদের গুনাহ গুলো ক্ষমা করে দিন। আমাদের কাজে সীমালংঘন মূলক অপরাধগুলো ক্ষমা করে দিন। আমাদের কদম ধরে রাখুন। আর কাফের সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে সাহায্য করুন।
 
[আল্লাহর পথে বিপদ মুসিবতে পতিত ঈমানদারদের আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনায় সর্বোত্তম দুআ]
 
আল ইমরান (আয়াত : 147)
 
হে আমাদের রব! আমরা আপনারই ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল।
 
আল বাক্বারাহ (আয়াত : 285)
হে আমার প্রভু! আপনি আমার বক্ষকে প্রশস্ত করুন এবং আমার জন্য আমার কাজ সহজ করে দিন। আর আমার জিহবার জড়তা দূর করে দিন, যাতে তারা আমার কথা বুঝতে পারে।
 
[হযরত মুসা আ. কে ফেরাউনের নিকট দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য প্রেরণ করা হলে মুসা আ. আল্লাহর কাছে এই দুআ করেন।]
 
ত্বোয়া-হা (আয়াত : 25)
হে আমাদের প্রভূ! আপনি আপনার রাসূলদের নিকট যে ওয়াদা করেছেন, তা আমাদেরকে দিয়ে দিন। আর কেয়ামতের দিবসে আমাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন না। নিশ্চয়ই আপনি ওয়াদা ভঙ্গকারী নন।
 
আল ইমরান (আয়াত : 194)
হে আমাদের রব, আমাদেরকে বের করুন এ জনপদ থেকে যার অধিবাসীরা যালিম এবং আমাদের জন্য আপনার পক্ষ থেকে একজন অভিভাবক নির্ধারণ করুন। আর নির্ধারণ করুন আপনার পক্ষ থেকে একজন সাহায্যকারী।
 
আন নিসা (আয়াত : 75)
 
অর্থ: হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী দলের বিরুদ্ধে সাহায্য করুন।
 
[হযরত লুত আ. এর জাতির কুকর্মের বিরূদ্ধে তার জাতির বিপক্ষে আল্লাহর কাছে লুত আ. এর সাহায্য কামনা]
 
আল আনকাবুত (আয়াত : 30)
হে আমাদের রব, আমাদের পক্ষ থেকে কবূল করুন। নিশ্চয় আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরের মধ্য থেকে আপনার অনুগত জাতি বানান। আর আমাদেরকে আমাদের ইবাদাতের বিধি-বিধান দেখিয়ে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
 
[হযরত ইব্রাহীম আ. এবং ইসমাঈল আ. কাবা ঘর নির্মানের পর তাদের কাজ কবুল করা এবং হেদায়েতের উপর অটল অবিচল রাখতে এই দোয়া করেন।]
 
আল বাক্বারাহ (আয়াত : 127)
হে আমার পালনকর্তা! আপনি আমার জন্য যে কল্যাণ পাঠিয়েছেন তার প্রতি আমি মুখাপেক্ষী। (নোট: ফিরাউনের হাত থেকে বাঁচার জন্য মাদায়েনে গিয়ে অসহায় অবস্থায় মূসা (আ.) এর দোয়া। সেখানে তিনি দুটি অসহায় মেয়ের পশুর পালকে পানি খাইয়ে সাহায্য করেন। এরপর গাছের ছায়ায় ফিরে এসে এই দোয়া করেন।
 
আল কাসাস (আয়াত : 24)
হে আমার রব! আপনি আমার জন্য আপনার নিকটে জান্নাতে একটি ঘর বানান।
 
(নোট: ফিরাউনের নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে তার স্ত্রী আছিয়া আল্লাহ তাআলার কাছে এই দোয়া করেন।)
 
আত-তাহরীম (আয়াত : 11)
হে আমার প্রতিপালক আমার আর আমার ভাইকে ক্ষমা কর। আর আপনি আমাদেরকে আপনার রহমত তথা জান্নাতে প্রবেশ করান। আপনিই তো সর্বোত্তম দয়াশীল।
 
[ফেরাউন কতৃক নিযুক্ত জাদুকরগণ মুসা আ. এর মোজেজা দেখে ইসলাম গ্রহণ করেন এবং আল্লাহর কাছে এই প্রার্থনা করেন।]
 
আল আ’রাফ (আয়াত : 151)
হে আমাদের রব! আমরা যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না। হে আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার সামর্থ্য আমাদের নেই। আর আপনি আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আর আমাদের উপর দয়া করুন। আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব আপনি কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন
 
আল বাক্বারাহ (আয়াত : 286)
হে আমার রব, আমাকে সাহায্য করুন। কেননা তারা আমাকে মিথ্যাবাদী বলেছে।
 
[নুহ আ. কে তাঁর জাতির লোকেরা মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করলে তিনি এভাবে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন।]
 
আল মু’মিনূন (আয়াত : 26)
হে আমার প্রভু! নিশ্চয়ই আমি আমার নিজের উপর অত্যাচার করেছি। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন।
 
[অনিচ্ছাকৃতভাবে নিজ সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিকে ঘুষি মেরে হত্যা করার পর আল্লাহর দরবারে মুসা আ. এর অনুশোচনামূলক প্রার্থনা।]
 
আল কাসাস (আয়াত : 16)
হে আমাদের প্রভূ! আপনার উপরেই আমরা ভরসা করলাম। আপনার দিকে আমরা রুজু হলাম। আপনার নিকটেই প্রত্যাবর্তনস্থল
 
আল-মুমতাহিনাহ (আয়াত : 4)
 
আমাদের জন্য আল্লাহই যথেষ্ট এবং তিনি উত্তম
 
আল ইমরান (আয়াত : 173)
হে আমার রব, যে বিষয়ে আমার জ্ঞান নেই তা চাওয়া থেকে আমি অবশ্যই আপনার আশ্রয় চাই। আর যদি আপনি আমাকে মাফ না করেন এবং আমার প্রতি দয়া না করেন, তবে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব।
 
হুদ (আয়াত : 47)