আল যুখরুফ

43|1| হা মীম!
43|2| সুস্পষ্ট গ্রন্থখানা সন্বন্ধে ভেবে দেখো —
43|3| নিঃসন্দেহ আমরা এটিকে এক আরবী ভাষণ করেছি যেন তোমরা বুঝতে পারো।
43|4| আর নিঃসন্দেহ এটি রয়েছে আমাদের কাছে আদিগ্রন্থে, মহোচ্চ, জ্ঞানসমৃদ্ধ।
43|5| কী! আমরা কি তোমাদের থেকে স্মারক গ্রন্থখানা সর্বতোভাবে সরিয়ে নেব যেহেতু তোমরা হচ্ছ এক সীমালংঘনকারী জাতি?
43|6| আর নবীদের কতজনকে যে আমরা পূর্ববর্তীদের কাছে পাঠিয়েছিলাম?
43|7| আর নবীদের এমন কেউ তাদের কাছে আসেন নি যাঁকে তারা বিদ্রূপ না করত।
43|8| তারপর এদের চাইতে বলবীর্যে বেশী শক্তিশালীদেরও আমরা ধ্বংস করেছিলাম, আর পূর্ববর্তীদের দৃষ্টান্ত অতীতে রয়েছে।
43|9| আর তুমি যদি তাদের জিজ্ঞাসা কর — ”কে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন?’’ — তারা নিশ্চয়ই বলবে — ”এগুলো সৃষ্টি করেছেন মহাশক্তিশালী সর্বজ্ঞাতা —
43|10| যিনি তোমাদের জন্য পৃথিবীকে করেছেন এক খাটিয়া, আর এতে তৈরী করেছেন তোমাদের কারণে পথসমূহ, যাতে তোমরা পথের দিশা পেতে পার,
43|11| আর যিনি আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন পরিমাপ মতো, তারপর তা দিয়ে আমরা প্রাণবন্ত করি মৃত দেশকে, এইভাবেই তোমাদের পুনরুত্থিত করা হবে।
43|12| আর যিনি সমস্ত-কিছু জোড়ায়-জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন, আর তোমাদের জন্য নৌকা-জাহাজ ও গবাদি-পশুর মধ্যে বানিয়েছেন সেগুলো যা তোমরা চড়ো, —
43|13| যেন তোমরা তাদের পিঠের উপরে মজবুত হয়ে বসতে পার, তারপর তোমাদের প্রভুর অনুগ্রহ স্মরণ করো যখন তোমরা তাদের উপরে বস, আর বলো — ”সকল মহিমা তাঁর যিনি এদের আমাদের বশ করেছেন, অথচ আমরা এতে সমর্থ ছিলাম না,
43|14| ”আর অবশ্য আমরা আমাদের প্রভুর দিকেই তো ফিরে যাব।’’
43|15| তথাপি তারা তাঁর বান্দাদের মধ্যে থেকে তাঁর সঙ্গে অংশীদার বানিয়েছে। নিঃসন্দেহ মানুষ তো স্পষ্টই অকৃতজ্ঞ।
43|16| তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার মধ্যে থেকে কি তিনি কন্যাদের গ্রহণ করেছেন আর তোমাদের জন্য নির্ধারিত করেছেন পুত্রদের?
43|17| আর যখন তাদের কাউকে সুসংবাদ দেওয়া হয় তাই দিয়ে যার দৃষ্টান্ত সে স্থাপন করে পরম করুণাময়ের প্রতি, তার চেহারা তখন কালো হয়ে যায় আর সে অতিমাত্রায় ক্ষুদ্ধ্ব হয়।
43|18| তবে কি যে গহনাগাটিতে রক্ষিত আর যে বিতর্ককালে স্পষ্টবাদিতা বিহীন?
43|19| আর তারা ফিরিশতাদের, যারা খোদ পরম করুণাময়ের দাস, কন্যা বানায়। কী! এদের সৃষ্টি কি তারা দেখেছিল? তাদের সাক্ষ্য শীঘ্রই লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
43|20| আর তারা বলে — ”পরম করুণাময় যদি চাইতেন তবে আমরা এ-সবের উপাসনা করতাম না।’’ তাদের এ ব্যাপারে কোনো জ্ঞান নেই, তারা তো শুধু ঝুটা আন্দাজই করছে।
43|21| অথবা তাদের কি এর আগে আমরা কোনো গ্রন্থ দিয়েছি, ফলে তারা তাতে আকঁড়ে রয়েছে?
43|22| না, তারা বলে — ”আমরা তো আমাদের পিতৃপুরুষদের একটি সম্প্রদায়ভুক্ত পেয়েছি, আর আমরা নিঃসন্দেহে তাদেরই পদচিহ্নের উপরে পরিচালিত হয়েছি।’’
43|23| আর এইভাবেই তোমার আগে কোনো জনপদে আমরা সতর্ককারীদের কাউকেও পাঠাই নি, যার বড়লোকেরা না বলেছে — ”আমরা নিশ্চয়ই আমাদের পিতৃপুরুষদের একটি সম্প্রদায়ভুক্ত পেয়েছি, আর আমরা আলবৎ তাদেরই পদাংকের অনুসারী।’’
43|24| তিনি বলেছিলেন — ”কী! যদিও আমি তোমাদের কাছে তার চাইতেও ভালো পথনির্দেশ নিয়ে এসেছি যার উপরে তোমরা তোমাদের পিতৃপুরুষদের পেয়েছিলে?’’ তারা বললে, ”তোমাদের যা দিয়ে পাঠানো হয়েছে আমরা তাতে নিশ্চয়ই অবিশ্বাসী।
43|25| সুতরাং আমরা তাদের পরিণতি দিয়েছিলাম, অতএব চেয়ে দেখো — কেমন হয়েছিল মিথ্যাচারীদের পরিণাম!
43|26| আর স্মরণ করো! ইব্রাহীম তাঁর পিতৃকে ও তাঁর স্বজাতিকে বললেন, ”তোমরা যার পূজা কর তা থেকে আমি অবশ্যই মুক্ত,
43|27| ”তাঁকে ব্যতীত যিনি আমাকে আদিতে সৃষ্টি করেছেন, কাজেই নিশ্চয় তিনি শীঘ্রই আমাকে পথ দেখাবেন।’’
43|28| আর তিনি এটিকে তাঁর বংশধরদের মধ্যে একটি চিরন্তন বাণী বানিয়েছিলেন, যেন তারা ফিরতে পারে।
43|29| বস্তুতঃ আমি এদের ও এদের পূর্বপুরুষদের উপভোগ করতে দিয়েছিলাম, যে পর্যন্ত না তাদের কাছে এসেছিল মহাসত্য ও একজন স্পষ্ট প্রতীয়মান রসূল।
43|30| আর এখন যেহেতু তাদের কাছে মহাসত্য এসেই গেছে, তারা বলছে, ”এ এক জাদু, আর আমরা অবশ্যই এতে অবিশ্বাসী।’’
43|31| আর তারা বলে, ”এই কুরআনখানা দুটো জনপদের মধ্যের কোনো এক প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছে কেন অবতীর্ণ হল না?’’
43|32| তারাই কি তোমার প্রভুর করুণা ভাগ-বাঁটা করে? আমরাই এই দুনিয়ার জীবনে তাদের জীবিকা তাদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে দিই, এবং তাদের কাউকে অপরের উপরে মর্যাদায় উন্নত করি, যেন তাদের কেউ-কেউ অপরকে সেবারত করে নিতে পারে। আর তোমার প্রভুর করুণা বেশি ভাল তার চাইতে যা তারা জমা করে।
43|33| আর মানুষ যদি একই সম্প্রদায়ের হয়ে না যেতো তাহলে যারা পরম করুণাময়কে অস্বীকার করে তাদের জন্য আমরা নিশ্চয় বানাতাম — তাদের ঘরগুলোর জন্য রূপোর ছাদ ও সিড়ি যাঁ দিয়ে তারা ওঠে,
43|34| আর তাদের ঘরবাড়ির জন্য দরজাগুলো ও পালংক যার উপরে তারা শয়ন করে,
43|35| আর সোনাদানা। আর এ সমস্তই এই দুনিয়ার জীবনের ভোগসম্ভার বৈ তো নয়। আর পরকাল তোমার প্রভুর কাছে ধর্মভীরুদের জন্যেই।
43|36| আর যে পরম করুণাময়ের স্মরণ থেকে বেখেয়াল হয় তার জন্য আমরা ধার্য করি একজন শয়তান, ফলে সে হয় তার জন্য একটি সহচর।
43|37| আর নিঃসন্দেহ তারা তাদের পথ থেকে অবশ্যই ফিরিয়ে রাখে, অথচ তারা মনে করে যে তারা সৎপথে চালিত হচ্ছে, —
43|38| যে পর্যন্ত না সে আমাদের কাছে আসে তখন সে বলবে — ”হায় আফসোস! আমার মধ্যে ও তোমার মধ্যে যদি দূরত্ব হতো দুটি পূর্বাঞ্চলের! সুতরাং কত নিকৃষ্ট সহচর!’’
43|39| আর — ”যেহেতু তোমরা অন্যায়াচরণ করেছিলে তাই শাস্তিভোগের মধ্যে তোমরা অংশীদার হওয়া সত্ত্বেওে আজকের দিনে তোমাদের কোনো ফায়দা হবে না।’’
43|40| কি! তুমি কি তবে বধিরকে শোনাতে পারবে, অথবা অন্ধকে এবং যে স্পষ্ট বিভ্রান্তিতে রয়েছে তাকে পথ দেখাতে পারবে?
43|41| কিন্ত আমরা যদি তোমাকে নিয়ে নিই, আমরা তবুও তাদের থেকে শেষ-পরিণতি আদায় করব,
43|42| অথবা আমরা নিশ্চয় তোমাকে দেখিয়ে দেব যা আমরা তাদের ওয়াদা করেছিলাম, কেননা আমরা আলবৎ তাদের উপরে ক্ষমতাবান।
43|43| সেজন্য তোমার কাছে যা প্রত্যাদেশ দেওয়া হচ্ছে তাতে আঁকড়ে ধরো। নিঃসন্দেহ তুমি সরল-সঠিক পথের উপরে রয়েছো।
43|44| আর এইটি নিশ্চয়ই তো একটি স্মরণীয় গ্রন্থ তোমার জন্য ও তোমার লোকদের জন্য, আর শীঘ্রই তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে।
43|45| আর তোমার আগে আমাদের রসূলদের মধ্যের যাঁদের আমরা পাঠিয়েছিলাম তাঁদের জিজ্ঞেস করো — আমরা কি পরম করুণাময়কে বাদ দিয়ে উপাসনার জন্য উপাস্যদের দাঁড় করিয়েছিলাম?
43|46| আর আমরা নিশ্চয় মূসাকে আমাদের নির্দেশাবলী দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম ফির’আউন ও তার প্রধানদের কাছে, কাজেই তিনি বলেছিলেন — ”আমি নিশ্চয় বিশ্বজগতের প্রভুর বাণীবাহক।’’
43|47| কিন্ত যখন তিনি আমাদের নির্দেশাবলী নিয়ে তাদের কাছে এলেন তখন দেখো, তারা এসব নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে লাগল।
43|48| আর আমরা তাদের এমন কোনো নিদর্শন দেখাই নি যা ছিল না তার ভগিনী থেকে আরো বড়, আর আমরা তাদের পাকড়াও করেছিলাম শাস্তি দিয়ে যেন তারা ফিরে আসে।
43|49| আর তারা বলেছিল — ”ওহে জাদুকর! তোমার প্রভুকে আমাদের জন্য ডাকো যেমন তিনি তোমার কাছে অংগীকার করেছিলেন, আমরা অবশ্যই তখন সৎপথাবলন্বী হব।’’
43|50| তারপর আমরা যখন তাদের থেকে শাস্তিটা সরিয়ে নিলাম তখন দেখো! তারা অংগীকার ভঙ্গ করে বসল।
43|51| আর ফির’আউন তার লোকদলের মধ্যে ঘোষণা করে বললে — ”হে আমার স্বজাতি! মিশরের রাজ্য কি আমার নয়, আর এইসব নদনদী যা আমার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে? তোমরা কি তবে দেখতে পাচ্ছ না?
43|52| ”বস্তুতঃ আমি বেশি ভাল এর চেয়ে যে স্বয়ং হীন-ঘৃণ্য, ও স্পষ্টবাদিতার যার ক্ষমতা নেই।
43|53| ”তবে কেন সোনার কঙ্কন তার প্রতি ছোড়া হল না, অথবা তার সঙ্গে কেন ফিরিশতারা এল না সারিবদ্ধভাবে।’’
43|54| এইভাবে সে তার স্বজাতিকে ধাপ্পা দিয়েছিল, ফলে তারা তাকে মেনে চলল। নিঃসন্দেহ তারা ছিল সীমালংঘনকারী জাতি।
43|55| অতএব তারা যখন আমাদের রাগিয়ে তুললো তখন আমরা তাদের থেকে শেষ-পরিণতি গ্রহণ করলাম, ফলে তাদের একসঙ্গে ডুবিয়ে দিয়েছিলাম।
43|56| সুতরাং আমরা তাদের বানিয়ে দিয়েছিলাম এক অতীত ইতিহাস এবং পরবর্তীদের জন্য এক দৃষ্টান্ত।
43|57| আর যখন মরিয়মের পুত্রের দৃষ্টান্ত ছোঁড়া হয় তখন দেখো, তোমার স্বজাতি তাতে শোরগোল তোলে।
43|58| আর তারা বলে — ”আমাদের দেবদেবীরা অধিকতর ভাল, না সে? তারা তোমার কাছে এ কথা তোলে না তর্কবিতর্ক করার জন্যে ব্যতীত? বস্তুত তারা হচ্ছে বিবাদপ্রিয় জাতি।
43|59| তিনি একজন বান্দা বৈ তো নন যাঁর প্রতি আমরা অনুগ্রহ করেছি, এবং তাঁকে আমরা ইসরাঈলের বংশধরদের জন্য আদর্শস্বরূপ বানিয়েছিলাম।
43|60| আর আমরা যদি চাইতাম তবে নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের মধ্যে ফিরিশ্‌তাদের নিয়োগ করতাম পৃথিবীতে প্রতিনিধি হবার জন্য!
43|61| আর নিঃসন্দেহ এ-ই হচ্ছে ঘড়িধন্টা সন্বন্ধে নিশ্চিত জ্ঞান; সুতরাং এ-সন্বন্ধে তোমরা সন্দেহ করো না, আর আমাকে অনুসরণ করো। এটিই হচ্ছে সহজ-সঠিক পথ।
43|62| আর শয়তান যেন তোমাদের কিছুতেই ফিরিয়ে না দেয়, নিঃসন্দেহ সে হচ্ছে তোমাদের জন্য প্রকাশ্য শত্রু।
43|63| আর যখন ঈসা স্পষ্ট প্রমাণাবলী নিয়ে এলেন তখন তিনি বললেন — ”আমি তোমাদের কাছে জ্ঞান নিয়ে এসেছি, আর তোমরা যে-সব বিষয়ে মতভেদ করছ তার কোনো কোনোটি তোমাদের জন্য সুস্পষ্ট করে দিতে, সুতরাং তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয়-ভক্তি করো ও আমাকে মেনে চল।
43|64| ”নিঃসন্দেহ আল্লাহ্ — তিনি আমার প্রভু ও তোমাদেরও প্রভু, সেজন্য তাঁরই উপাসনা কর। এটিই সহজ-সঠিক পথ।’’
43|65| কিন্ত বিভিন্ন দল নিজেদের মধ্যে মতভেদ সৃষ্টি করল, কাজেই ধিক্ তাদের প্রতি যারা অন্যায়াচরণ করেছিল — এক মর্মন্তুদ দিনের শাস্তির কারণে!
43|66| তারা কি চেয়ে রয়েছে শুধু ঘড়িঘান্টার জন্য যেন তাদের উপরে এটি এসে পড়ে আকস্মিকভাবে যখন তারা টেরও না পায়।
43|67| সেইদিন বন্ধুরা — তাদের কেউ-কেউ অপরের শত্রু হয়ে পড়বে, তবে ধর্মপরায়ণরা ব্যতীত।
43|68| ”হে আমার বান্দারা! আজকের দিনে তোমাদের জন্য কোনো ভয় নেই আর তোমরা দুঃখও করবে না, —
43|69| ”যারা আমাদের নির্দেশাবলীতে বিশ্বাস করেছিলে এবং মুসলিম হয়েছিলে, —
43|70| ”তোমরা বেহেশতে প্রবেশ করো — তোমরা ও তোমাদের সঙ্গিনীরা তোমাদের আনন্দিত করা হবে।’’
43|71| তাদের সামনে পরিবেশন করা হবে সোনার খাঞ্চা ও পানপাত্র, আর তাতে থাকবে যা অন্তর কামনা করে ও চোখ তৃপ্ত হয়, আর তোমরা তাতে স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে।
43|72| আর এইটিই সেই জান্নাত, তোমাদের এটি উত্তরাধিকার করতে দেওয়া হয়েছে তোমরা যা করতে তার জন্যে।
43|73| তোমাদের জন্য সেখানে রয়েছে প্রচুর ফলমূল, তা থেকে তোমরা আহার করবে।
43|74| অপরাধীরা নিশ্চয় জাহান্নামের শাস্তির মধ্যে অবস্থান করবে,
43|75| তাদের থেকে তা লাঘব করা হবে না, আর তাতে তারা হতাশ হয়ে পড়বে।
43|76| আর আমরা তাদের প্রতি অন্যায় করি নি, বরঞ্চ তারা নিজেরাই অন্যায় করেছিল।
43|77| আর তারা ডেকে বলবে — ”হে মালিক! তোমার প্রভু আমাদের নিঃশেষ করে ফেলুন।’’ সে বলবে — ”তোমরা নিশ্চয় অপেক্ষা করবে।’’
43|78| ”আমরা তো তোমাদের কাছে সত্য নিয়েই এসেছিলাম, কিন্ত তোমাদের অধিকাংশই সত্যের প্রতি বিমুখ ছিলে।’’
43|79| অথবা তারা কি কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্ত করে ফেলেছে? কিন্ত বাস্তবে আমরাই সিদ্ধান্তকারী।
43|80| অথবা তারা কি মনে করে যে আমরা তাদের লুকোনো বিষয় ও তাদের গোপন আলোচনা শুনি না? অবশ্যই, আর আমাদের দূতরা তাদের সঙ্গে থেকে লিখে চলেছে।
43|81| তুমি বলো — ”যদি পরম করুণাময়ের কোনো সন্তান থাকত তবে আমিই হচ্ছি উপাসনাকারীদের মধ্যে অগ্রণী।’’
43|82| সকল মহিমা হোক মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর প্রভুর! তিনি আরশের প্রভু, তারা যা আরোপ করে তা থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।
43|83| সুতরাং তাদের ছেড়ে দাও আঁকুপাঁকু করতে ও ছেলেখেলা খেলতে যে পর্যন্ত না তারা তাদের দিনের মুখোমুখি হয় যেটি সন্বন্ধে তাদের ওয়াদা করা হয়েছিল।
43|84| আর তিনিই সেইজন যিনি মহাকাশে উপাস্য আর দুনিয়াতেও উপাস্য। আর তিনিই পরমজ্ঞানী, সর্বজ্ঞাতা।
43|85| আর পুণ্যময় তিনি যাঁর অধিকারে রয়েছে মহাকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্ব আর যা-কিছু রয়েছে এ দুইয়ের মধ্যে, আর তাঁরই কাছে রয়েছে ঘড়িঘান্টার জ্ঞান, আর তাঁর কাছেই তোমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে।
43|86| আর তাঁকে বাদ দিয়ে তারা যাদের ডাকে তাদের কোনো ক্ষমতা নেই সুপারিশ করার, তিনি ব্যতীত যিনি সত্যের সাথে সাক্ষ্য দেন, আর তারা জানে।
43|87| আর তুমি যদি তাদের জিজ্ঞাসা কর — কে তাদের সৃষ্টি করেছেন, তারা নিশ্চয়ই বলবে — ”আল্লাহ্‌’’। তাহলে কোথায়-কেমনে তারা ফিরে যাচ্ছে!
43|88| আর তাঁর উক্তি — ”হে আমার প্রভু! তারা তো এক জাতি যারা ঈমান আনছে না।’’
43|89| ”সুতরাং তুমি তাদের থেকে ফিরে যাও এবং বলো — ‘সালাম!’ তারপর শীঘ্রই তারা জানতে পারবে।’’

Shop Al Quran

loader-image
নূরানী তাজভীদ কোরআন
Original price was: ৳ 4,000.00.Current price is: ৳ 1,950.00.
Nurani Quran Mena Book House
Original price was: ৳ 1,150.00.Current price is: ৳ 980.00.
The Holy Quran Color Coded
Original price was: ৳ 3,000.00.Current price is: ৳ 1,750.00.
তারতীলুল কুরআন
Original price was: ৳ 2,200.00.Current price is: ৳ 1,380.00.
নুরানী কোরআন শরীফ
Original price was: ৳ 2,500.00.Current price is: ৳ 1,750.00.
বঙ্গানুবাদ নূরানী কোরআন শরীফ
Original price was: ৳ 1,050.00.Current price is: ৳ 850.00.
সহীহ নুরানী কোরআন শরীফ
Original price was: ৳ 1,525.00.Current price is: ৳ 1,050.00.
নূরানি কোরআন- কালার কোডেড
Original price was: ৳ 2,500.00.Current price is: ৳ 2,350.00.
The Holy Quran Color Coded with English Translation
Original price was: ৳ 2,950.00.Current price is: ৳ 2,750.00.
হাফেজী কালার কোডেড কোরআন
Original price was: ৳ 2,200.00.Current price is: ৳ 1,550.00.
হাফেজী কালার কোডেড কোরআন
Original price was: ৳ 2,200.00.Current price is: ৳ 1,550.00.
Nurani Color Coded Quran
Original price was: ৳ 2,500.00.Current price is: ৳ 2,350.00.
নুরানী কোরআন শরীফ বাংলা অর্থ এবং উচ্চারণ
Original price was: ৳ 1,200.00.Current price is: ৳ 1,050.00.
নূরানী হাফেজী তাজভীদ কোরআন মাজীদ
Original price was: ৳ 1,350.00.Current price is: ৳ 1,150.00.
English Quran Majid
Original price was: ৳ 800.00.Current price is: ৳ 750.00.
Nurani Color Coded Quran
Original price was: ৳ 2,500.00.Current price is: ৳ 2,350.00.
Interpretation of the meaning The Noble Quran
Original price was: ৳ 1,850.00.Current price is: ৳ 1,700.00.
হাফেজী কালার কোডেড কোরআন
Original price was: ৳ 2,200.00.Current price is: ৳ 1,550.00.
নুরানী কুরআন শরীফের বাংলা অনুবাদ ও উচ্চারণ, মিনি তাফসীর- রঙিন (বড়)
Original price was: ৳ 2,000.00.Current price is: ৳ 1,850.00.
Bangla Arabic Al Quran
Original price was: ৳ 4,000.00.Current price is: ৳ 1,980.00.

Select options This product has multiple variants. The options may be chosen on the product page

Al Quran
Original price was: ৳ 4,000.00.Current price is: ৳ 1,980.00.
নুরানী হাফেজী আল কুরআনুল কারীম
Original price was: ৳ 2,200.00.Current price is: ৳ 1,950.00.
The Noble Quran
Original price was: ৳ 4,000.00.Current price is: ৳ 3,850.00.
Bangla Al Quran
Original price was: ৳ 4,000.00.Current price is: ৳ 1,980.00.
The Holy Quran
Original price was: ৳ 2,500.00.Current price is: ৳ 1,950.00.
Quranul Karim
Original price was: ৳ 900.00.Current price is: ৳ 880.00.
সহজ কোরআন সম্পূর্ণ ৩০ পারা (গোল্ড ক্বাবা ডিজাইন)
Original price was: ৳ 2,200.00.Current price is: ৳ 1,490.00.
নুরানী কোরআন শরীফ
Original price was: ৳ 1,050.00.Current price is: ৳ 950.00.
বাংলা তাফসির কুরআনুল কারীম
Original price was: ৳ 3,200.00.Current price is: ৳ 2,900.00.
Mushaf Madinah Arabic Quran
Original price was: ৳ 2,500.00.Current price is: ৳ 2,450.00.
সহীহ নুরানী কুরআন
Original price was: ৳ 1,250.00.Current price is: ৳ 920.00.
বর্ণ ও বিষয়ভিত্তিক- আল কুরআনুল করীম
Original price was: ৳ 2,200.00.Current price is: ৳ 1,590.00.
টপ আর্ট পেপারে নূরানী কুরআন শরীফ
Original price was: ৳ 2,000.00.Current price is: ৳ 1,850.00.
নুরানী বাংলা কোরআন শরীফ
Original price was: ৳ 1,200.00.Current price is: ৳ 690.00.
আমার সখের নূরানী কোরআন শরীফ
Original price was: ৳ 3,000.00.Current price is: ৳ 1,990.00.
Shahi Hafezi Quran (Golden Sleeve Zipper) -XL
Original price was: ৳ 2,000.00.Current price is: ৳ 1,750.00.
Rainbow Quran - Orange
Original price was: ৳ 2,500.00.Current price is: ৳ 2,250.00.
কাবা ডিজাইনে মিডিয়াম সাইজ হাফেজি কুরআন
Original price was: ৳ 2,500.00.Current price is: ৳ 1,500.00.
তাফসীর তাইসীরুল কুরআন
Original price was: ৳ 2,000.00.Current price is: ৳ 1,380.00.
আমার সখের নূরানী কোরআন শরীফ
Original price was: ৳ 3,000.00.Current price is: ৳ 1,990.00.
Quran Majid Bangla Color Print
Original price was: ৳ 2,000.00.Current price is: ৳ 1,290.00.
আমার সখের নূরানী কোরআন শরীফ (বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ সহ)
Original price was: ৳ 3,000.00.Current price is: ৳ 1,990.00.
আমার সখের নূরানী কোরআন শরীফ
Original price was: ৳ 3,000.00.Current price is: ৳ 1,990.00.
নুরানী বাংলা কোরআন শরীফ
Original price was: ৳ 1,800.00.Current price is: ৳ 1,650.00.
সখের নূরানী কোরআন শরীফ
Original price was: ৳ 3,000.00.Current price is: ৳ 1,990.00.
কুরআন মাজীদ
Original price was: ৳ 1,180.00.Current price is: ৳ 990.00.
Nurani Color Coded Quran
Original price was: ৳ 2,500.00.Current price is: ৳ 2,350.00.
হাফেজী কালার কোডেড কোরআন
Original price was: ৳ 2,200.00.Current price is: ৳ 1,550.00.