মক্কায় মতান্তরে মদিনায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ৪৩, রুকু সংখ্যা: ০৬এই সূরার আলোচ্যসূচি
|
13-1 : আলিফ লাম মিম রা। এগুলো আল কিতাবের (আল কুরআনের) আয়াত, যা তোমার প্রতি নাযিল করা হয়েছে। তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে এ এক মহাসত্য। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই (তাতে) ঈমান আনেনা। |
13-2 : আল্লাহ্, যিনি মহাকাশকে উপরে উঠিয়ে দিয়েছেন স্তম্ভ ছাড়াই, তোমরা তা দেখতে পাচ্ছো। তারপর তিনি সমাসীন হয়েছেন আরশের উপর এবং সূর্যও চাঁদকে (নির্দিষ্ট বিধানের) অধীন করে দিয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে গতিমান। সমস্ত বিষয়ই তিনি পরিচালনা করেন এবং নিদর্শনসমূহ বর্ণনা করেন বিশদভাবে, যাতে তোমরা তোমাদের প্রভুর সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে একীন রাখো। |
13-3 : তিনি জমিনকে সমতল করে বিছিয়ে দিয়েছেন এবং তাতে সৃষ্টি করে দিয়েছেন পাহাড় - পর্বত আর নদ - নদী। সেখানে প্রত্যেক প্রকারের ফলফলারি সৃষ্টি করেছেন জোড়ায় জোড়ায়। তিনিই দিনকে ঢেকে দেন রাত দিয়ে। এতে অবশ্যি নিদর্শন রয়েছে চিন্তাশীল লোকদের জন্যে। |
13-4 : এই পৃথিবীতে সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে পরস্পর কাছাকাছি ভূ - খন্ডসমূহ, তাতে রয়েছে আঙ্গুরের বাগান, শস্যক্ষেত, আর একাধিক মাথাওয়ালা এবং এক মাথাওয়ালা খেজুর গাছ। এগুলোকে পান করানো হয় একই পানি। সেগুলোর কিছু ফল ফসলকে কিছু ফল ফসলের উপর আমরা স্বাদের দিক থেকে চমৎকার করে দিই। যারা আকল খাটায় তাদের জন্যে এতে রয়েছে নিদর্শন। |
13-5 : তুমি যদি বিস্মিত হও, তবে বিস্ময়কর হলো তাদের এই কথা, ‘মাটিতে মিশে যাবার পরও কি আমাদের আবার নতুন করে সৃষ্টি করা হবে?’ এরাই তাদের প্রভুর সাথে কুফুরি করেছে আর তাদের গলায়ই থাকবে লোহার শিকল এবং তারাই হবে জাহান্নামের অধিবাসী। সেখানে থাকবে তারা চিরকাল। |
13-6 : কল্যাণের আগেই তারা তোমাকে অকল্যাণ ত্বরান্বিত করতে বলে: যদিও তাদের আগে এ রকম কথার অনেক দৃষ্টান্ত বিগত হয়েছে। নিশ্চয়ই তোমার প্রভু মানুষের প্রতি তাদের যুলুম - সীমালঙ্ঘন সত্ত্বেও পরম ক্ষমাশীল। আবার তোমার প্রভু শাস্তি প্রদানেও কঠোর। |
13-7 : কাফিররা বলে: ‘তার প্রতি তার প্রভুর পক্ষ থেকে কোনো নিদর্শন নাযিল হলোনা কেন?’ তুমি তো কেবল একজন সতর্ককারী মাত্র আর প্রত্যেক কওমেরই ছিলো একজন সতর্ককারী। |
13-8 : আল্লাহ্ জানেন প্রত্যেক নারী তার গর্ভে যা বহন করে এবং জরায়ুতে যা কমে আর বাড়ে এবং তাঁর কাছে প্রতিটি বস্তুর পরিণামই নির্ধারিত। |
13-9 : তিনি গায়েব ও দৃশ্যের জ্ঞানী মহান ও সর্বোচ্চ মর্যাদার মালিক। |
13-10 : তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কথা গোপন করে এবং যে তা প্রকাশ করে, আর যে রাতে লুকিয়ে থাকে এবং দিনে বিচরণ করে, তারা সবাই আল্লাহর জ্ঞানে সমান। |
13-11 : তার (মানুষের) জন্যে তার সামনে এবং পেছনে একের পর এক পাহারাদার নিযুক্ত থাকে আল্লাহর নির্দেশে। তারা তার হিফাযত করে। আল্লাহ্ কোনো জাতির অবস্থা পরিবর্তন করেননা, যতোক্ষণ না তারা নিজেরাই নিজেদের অবস্থা পরিবর্তন করে। যখন আল্লাহ্ কোনো জাতির অকল্যাণ চান, তখন তা আর রদ হয়না। তাদের জন্যে আল্লাহ্ ছাড়া আর কোনো অলি নেই। |
13-12 : তিনিই তোমাদেরকে বিদ্যুত চমকিয়ে ভয় এবং আশা দেখান। তিনিই সৃষ্টি করেন বর্ষণমুখী ভারি মেঘ। |
13-13 : বজ্রধ্বনি প্রশংসার সাথে তাঁর তসবিহ করে এবং ফেরেশতারাও করে তাঁর ভয়ে। তিনি বজ্রপাত ঘটান এবং তা দিয়ে যাকে ইচ্ছা আঘাত করেন। তারা আল্লাহ্ সম্পর্কে বিতর্ক করে, অথচ তিনি মহাশক্তিমান। |
13-14 : সত্যের দাওয়াত তাঁরই জন্যে (তাঁরই দিকে) হবে। যারা তাঁকে ছাড়া অন্যদের ডাকে, তারা তাদের ডাকে কিছুমাত্র সাড়া দেয়না। তাদের উপমা হলো ঐ ব্যক্তি, যে তার দুই হাত প্রসারিত করেছে যেনো তার মুখে পানি পৌঁছে, অথচ তা তার মুখে পৌঁছার নয়। কাফিরদের আহবান একেবারেই নিষ্ফল। |
13-15 : মহাকাশ এবং পৃথিবীতে যারাই আছে, সবাই ইচ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায়, আল্লাহকে সাজদা করে এবং তাদের ছায়াগুলোও তাঁকে সাজদা করে সকালে এবং বিকেলে। (সাজদা) |
13-16 : হে নবী! তাদের জিজ্ঞেস করো: ‘মহাকাশ এবং পৃথিবীর রব কে?’ বলো: ‘আল্লাহ্’। বলো: তোমরা কি আল্লাহর পরিবর্তে এমন সব অলি গ্রহণ করেছো যারা তাদের নিজেদেরও লাভ কিংবা ক্ষতি করতে সক্ষম নয়? জিজ্ঞেস করো, অন্ধ আর চক্ষুষ্মান কি সমান? নাকি আলো আর অন্ধকার সমান? নাকি তারা যাদের আল্লাহর সাথে শরিক বানিয়েছে তারা আল্লাহর সৃষ্টির মতো সৃষ্টি করে যে কারণে সৃষ্টি তাদের কাছে সদৃশ মনে হয়? বলো: এক মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্ই সবকিছুর স্রষ্টা। |
13-17 : তিনিই আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন, ফলে উপত্যকাসমূহ পরিমাণ মতো প্লাবিত হয়। আর প্লাবন তার উপরে আবর্জনা বহন করে বুদবুদ আকারে। এছাড়া তোমরা অলংকার কিংবা তৈজসপত্র তৈরির জন্যে যেসব ধাতু আগুনে বিগলিত করো সেগুলোর উপরিভাগেও অনুরূপ আবর্জনা ভেসে উঠে বুদ্বুদ আকারে। এভাবেই আল্লাহ্ হক এবং বাতিলের উপমা দিয়ে থাকেন। অত:পর আবর্জনা সমেত বুদ্বুদ বিলীন হয়ে যায়, আর যা মানুষের জন্যে কল্যাণকর তা জমিনে জমে থাকে। আল্লাহ্ এভাবেই উপমা দিয়ে থাকেন। |
13-18 : যারা তাদের রবের আহবানে সাড়া দেয় তাদের জন্যে রয়েছে হুসনা (কল্যাণ)। আর যারা তাঁর আহবানে সাড়া দেয়না, পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই যদি তাদের থাকতো এবং সেই সাথে অনুরূপ আরো থাকতো, তারা (আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচার জন্যে) মুক্তিপণ হিসেবে সেই সবই দিয়ে দিতো। তাদের জন্যে রয়েছে নিকৃষ্ট হিসাব এবং তাদের আবাস হবে জাহান্নাম। সেটা খুবই নিকৃষ্ট বিশ্রামের জায়গা। |
13-19 : যে ব্যক্তি জানে তোমার প্রভুর নিকট থেকে তোমার কাছে মহাসত্য নাযিল হয়েছে, সে কি ঐ ব্যক্তির সমতুল্য, যে (এ ব্যাপারে) অন্ধ? অনুধাবন করে তো বোধশক্তি সম্পন্ন লোকেরাই, |
13-20 : যারা আল্লাহকে দেয়া অঙ্গীকার পূর্ণ করে এবং প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেনা, |
13-21 : যারা আল্লাহ্ যেসব সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সেসব সম্পর্ক বজায় রাখে, তাদের প্রভুকে ভয় করে এবং ভীত থাকে কঠোর হিসাবের দিনের ব্যাপারে, |
13-22 : যারা তাদের প্রভুর সন্তুষ্টি লাভের লক্ষ্যে সবর অবলম্বন করে, সালাত কায়েম করে, আমাদের দেয়া জীবিকা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় (দান) করে এবং ভালো দিয়ে মন্দ দূর করে, তাদেরই জন্যে রয়েছে পরিণামের ঘর। |
13-23 : তা হলো চিরস্থায়ী জান্নাত, তাতেই তারা দাখিল হবে এবং তাদের বাবা - মা, স্বামী - স্ত্রী ও সন্তান - সন্ততিদের মধ্যে যারা নিজেদের এসলাহ (সংশোধন) করেছে তারাও। প্রত্যেক দরজা দিয়ে ফেরেশতারা তাদের কাছে দাখিল হবে। |
13-24 : তারা বলবে: ‘সালামুন আলাইকুম - আপনাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, আপনাদের সবর অবলম্বনের কারণে কতো উত্তম পরিণাম আপনাদের!’ |
13-25 : পক্ষান্তরে যারা আল্লাহর সাথে মজবুত অঙ্গীকার করার পর তা ভঙ্গ করে, আল্লাহ্ যাদের সাথে সম্পর্ক অক্ষুণ্ণ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন সেসব সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং জমিনে বিপর্যয় সৃষ্টি করে বেড়ায়, তাদের প্রতি লানত এবং তাদের জন্যে রয়েছে নিকৃষ্ট আবাস। |
13-26 : আল্লাহ্ যার জন্যে ইচ্ছে জীবিকা বিস্তৃত করে দেন এবং যাকে ইচ্ছা সীমিত করে দেন। তারা দুনিয়ার জীবন নিয়েই উৎফুল্ল, অথচ দুনিয়ার জীবন আখিরাতের তুলনায় একটি ক্ষণস্থায়ী ভোগের সময় মাত্র। |
13-27 : কাফিররা বলে: ‘তার প্রতি তার প্রভুর নিকট থেকে কোনো নিদর্শন নাযিল হলোনা কেন?’ তুমি বলো: ‘‘আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা বিপথগামী করে দেন। আর তাঁর দিকে পথ দেখান তাদেরকেই যারা তাঁর অভিমুখী হয়, |
13-28 : যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের কলব (অন্তর) প্রশান্তি লাভ করে।’’ জেনে রেখো, কেবল আল্লাহর স্মরণেই কলব প্রশান্তি লাভ করে থাকে। |
13-29 : যারা ঈমান আনে এবং আমলে সালেহ্ করে, আনন্দ আর শুভ পরিণাম তাদেরই। |
13-30 : (পূর্বের রসূলদের মতো) একইভাবে আমরা তোমাকে পাঠিয়েছি একটি উম্মতের কাছে। তাদের আগেও অতীত হয়েছে অনেক উম্মত। উদ্দেশ্য হলো: তুমি তাদের প্রতি তিলাওয়াত করবে যা আমরা তোমার কাছে নাযিল করেছি অহির মাধ্যমে। অথচ তারা দয়াময় রহমানের প্রতি কুফুরি করছে। তুমি বলো: ‘তিনিই আমার রব, তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ্ নেই, তাঁরই উপর আমি তাওয়াক্কুল করেছি এবং তাঁরই কাছে হবে আমার প্রত্যাবর্তন।’ |
13-31 : যদি এমন কোনো কুরআন হতো যার স্পর্শে পর্বতমালা চলতো, কিংবা পৃথিবীকে বিদীর্ণ করা যেতো, অথবা তাতে মৃতদের সাথে কথা বলা যেতো (তবু তারা সেই কুরআনের প্রতি ঈমান আনতো না)। বরং সমস্ত কর্তৃত্ব আল্লাহর। যারা ঈমান এনেছে এখনো কি তাদের হতাশা কাটেনি যে, আল্লাহ্ চাইলে সমস্ত মানুষকেই হিদায়াত করতে পারতেন? যারা কুফুরি করেছে তাদের কর্মকান্ডের জন্যে তাদের উপর আপদ আসতেই থাকবে। অথবা আপদ তাদের ঘরের আশে পাশেই ঘটতে থাকবে, যতোক্ষণ না আল্লাহর ওয়াদা (করা সময়টি) এসে পড়বে। আল্লাহ্ কখনো ওয়াদা খেলাফ করেন না। |
13-32 : তোমার আগেকার বহু রসূলকেই বিদ্রূপ করা হয়েছিল। ফলে যারা কুফুরি করেছিল, আমরা তাদেরকে কিছুটা অবকাশ দিয়েছিলাম, অত:পর তাদের পাকড়াও করেছি। কেমন ছিলো আমার শাস্তি? |
13-33 : তবে কি প্রতিটি মানুষ যা উপার্জন (আমল) করে, যিনি তার পর্যবেক্ষক, তিনি তাদের অক্ষম ইলাহ্গুলোর মতো? তারপরও তারা আল্লাহর সাথে শরিক বানিয়ে নিয়েছে। বলো: ‘তাদের পরিচয় দাও।’ তোমরা কি পৃথিবীর মধ্যে তাঁকে এমন কিছুর সংবাদ দিতে চাও, যা তিনি জানেন না? নাকি তা বাহ্যিক কথা মাত্র? বরং কাফিরদের কাছে তাদের চক্রান্তগুলোকে শোভনীয় করে দেয়া হয়েছে এবং তাদেরকে বাধা দেয়া হয়েছে সঠিক পথ থেকে। আর আল্লাহ্ যাদের বিপথগামী করে দেন, তাদের কোনো হাদি (সঠিক পথ প্রদর্শক) নেই। |
13-34 : দুনিয়ার জীবনেও তাদের জন্যে রয়েছে আযাব, আর আখিরাতের আযাব তো আরো কঠোর। আল্লাহর আযাব থেকে বাঁচানোর জন্যে তাদের কোনো রক্ষাকারী নেই। |
13-35 : মুত্তাকিদের যে জান্নাতের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তার উপমা হলো এরকম, যেমন তার নিচে দিয়ে বহমান থাকবে নদ - নদী - নহর, তার ফলন ও ছায়া হবে চিরস্থায়ী। এটাই মুত্তাকিদের (শুভ) পরিণাম। আর কাফিরদের পরিণাম হলো জাহান্নাম। |
13-36 : যাদেরকে আমরা কিতাব দিয়েছি, তোমার প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তাতে তারা আনন্দ পায়। কিন্তু কোনো কোনো দল সেটার কিছু কিছু অংশ অস্বীকার করে। বলো: ‘আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে আমি যেনো এক আল্লাহর ইবাদত করি এবং তাঁর সাথে কাউকেও শরিক না করি। আমি তাঁরই দিকে আহবান জানাই এবং তাঁরই কাছে হবে আমার প্রত্যাবর্তন। |
13-37 : এভাবেই আমরা সেটিকে নাযিল করেছি একটি বিধান হিসাবে আরবি ভাষায়। তোমার কাছে এলেম আসার পর তুমি যদি তাদের ইচ্ছা বাসনার ইত্তেবা (অনুসরণ) করো, তাহলে আল্লাহর পক্ষ থেকে তোমার কোনো অভিভাবক এবং রক্ষাকারী থাকবে না। |
13-38 : তোমার আগেও আমরা বহু রসূল পাঠিয়েছিলাম এবং তাদেরও দিয়েছিলাম স্ত্রী এবং সন্তান - সন্ততি। আল্লাহর অনুমতি ছাড়া কোনো নিদর্শন উপস্থিত করা কোনো রসূলের কাজ নয়। প্রত্যেক বিষয়েরই নির্ধারিত মেয়াদ লেখা রয়েছে। |
13-39 : আল্লাহ্ যা ইচ্ছা করেন তা মুছে দেন এবং যা ইচ্ছা করেন তা প্রতিষ্ঠিত রাখেন। আর তাঁর কাছেই রয়েছে ‘উম্মুল কিতাব’ (মূল কিতাব, Mother Book)। |
13-40 : (হে মুহাম্মদ!) তাদেরকে আমরা যে শাস্তির প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তার কিছুটা যদি তোমার জীবদ্দশাতেই তোমাকে দেখাই, কিংবা যদি তার আগেই তোমার ওফাত ঘটিয়ে দেই (তাতে কিছু যায় আসেনা, সর্বাবস্থায়ই) তোমার দায়িত্ব তো কেবল (বার্তা) পৌঁছে দেয়া, আর আমাদের দায়িত্ব হিসাব নেয়া। |
13-41 : তারা কি দেখেনা, আমরা তাদের ভূ - খন্ডকে চারদিক থেকে সংকুচিত করে আনছি? ফায়সালা তো করেন আল্লাহ্। তাঁর ফায়সালা রদ করার কেউ নেই। তিনি হিসাব গ্রহণে দ্রুত। |
13-42 : তাদের পূর্বেকার কাফিররাও (রসূলদের বিরুদ্ধে) ষড়যন্ত্র করেছিল। অথচ সব চক্রান্ত আল্লাহর এখতিয়ারে। প্রতিটি মানুষ যা কামাই করে, তা আল্লাহ্ জানেন। অচিরেই কাফিররা জানতে পারবে শুভ পরিণামের ঘর কার? |
13-43 : কাফিররা বলে: তুমি আল্লাহর প্রেরিত রসূল নও। তুমি বলো: ‘আল্লাহ্ই আমার এবং তোমাদের মাঝে সাক্ষী হিসাবে যথেষ্ট, আর যাদের কাছে কিতাবের জ্ঞান আছে তারা।’ |