মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ৫৪, রুকু সংখ্যা: ০৬এই সূরার আলোচ্যসূচি
|
34-1 : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি মালিক মহাকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব কিছুর, আখিরাতেও সমস্ত প্রশংসা তাঁর। তিনি প্রজ্ঞাবান, সর্ববিষয়ে জ্ঞাত। |
34-2 : তিনি জানেন যা প্রবেশ করে জমিনে এবং যা বের হয় জমিন থেকে। তিনি জানেন যা নাযিল হয় আসমান থেকে এবং যা মেরাজ হয় (উঠে) আকাশে। তিনি পরম করুণাময়, অতীব ক্ষমাশীল। |
34-3 : কাফিররা বলে: ‘কিয়ামত আমাদের কাছে আসবেই না।’ তুমি বলো: ‘হাঁ, আমার প্রভুর শপথ, সেটা অবশ্যি তোমাদের কাছে আসবে। তিনি গায়েবের জ্ঞানী, মহাকাশ এবং পৃথিবীতে অণু পরিমাণ, কিংবা তার চাইতে ছোট বা বড় কোনো কিছুই তাঁর অগোচরে নেই। সবকিছুই রেকর্ড করা আছে সুস্পষ্ট কিতাবে।’ |
34-4 : এর কারণ, যারা ঈমান আনে এবং আমলে সালেহ্ করে তিনি তাদের পুরস্কার দেবেন এবং তাদের জন্যে রয়েছে মাগফিরাত ও সম্মানজনক রিযিক। |
34-5 : আর যারা আমাদের আয়াতকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করে তাদের জন্যে রয়েছে ভয়ংকর বেদনাদায়ক আযাব। |
34-6 : যাদের জ্ঞান দেয়া হয়েছে, তাদের রায় হলো, তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে যা নাযিল হয়েছে সেটা সত্য। সেটি পথ দেখায় মহাশক্তিধর সপ্রশংসিত আল্লাহর পথ। |
34-7 : কাফিররা বলে: ‘‘আমরা কি তোমাদের এমন এক ব্যক্তির সন্ধান দেবো, যে তোমাদের বলে: তোমাদের দেহ পুরোপুরি মাটির সাথে মিশে যাবার পর তোমাদের নতুন করে সৃষ্টি করা হবে?’’ |
34-8 : সে কি মিথ্যা রচনা করে আল্লাহর প্রতি আরোপ করে? নাকি তাকে জিনে ধরেছে? বরং যারা আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখেনা তারা রয়েছে আযাবের মধ্যে এবং ঘোরতর ভুলপথে। |
34-9 : তারা কি তাদের সামনের পেছনের আসমান জমিনে যা আছে সেগুলোর প্রতি লক্ষ্য করেনা? আমরা চাইলে তাদেরকেসহ জমিনকে খসিয়ে দিতে পারি, অথবা তাদের উপর আকাশ ভেংগে ফেলতে পারি। নিশ্চয়ই এতে রয়েছে একটি নিদর্শন প্রতিটি আল্লাহমুখী বান্দার জন্যে। |
34-10 : আমরা আমাদের পক্ষ থেকে দাউদের প্রতি অনুগ্রহ করেছিলাম। আমরা নির্দেশ দিয়েছিলাম: ‘হে পর্বতমালা! তোমরা দাউদের সাথে আমার পবিত্রতা ঘোষণা করো এবং পাখিদেরকেও দিয়েছিলাম এ নির্দেশ। আর আমরা তার জন্যে লোহা গলাবার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম।’ |
34-11 : বলেছিলাম: ‘তুমি পূর্ণ মাপের বর্ম তৈরি করো এবং বুননের ক্ষেত্রে পরিমাণ রক্ষা করো। তোমরা আমলে সালেহ্ করো। তোমরা যা আমল করো সেদিকে আমি দৃষ্টি রাখছি।’ |
34-12 : আমরা সুলাইমানের জন্যে নিয়োজিত রেখেছিলাম বাতাসকে, যা একমাসের পথ অতিক্রম করতো সকালে এবং এক মাসের পথ অতিক্রম করতো বিকেলে। আমরা তার জন্যে প্রবাহিত করে দিয়েছিলাম গলিত তামার একটি ঝরণাধারা। তার প্রভুর অনুমতিক্রমে একদল জিন তার সামনে কাজ করতো। তাদের কেউ আমাদের নির্দেশ অমান্য করলে আমরা তাকে আস্বাদন করাবো জ্বলন্ত আগুনের আযাব। |
34-13 : তারা সুলাইমানের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করতো প্রাসাদ নির্মাণের, চিত্রাংকনের, হাউজের মতো বড় আকারের পাত্র নির্মাণের এবং মজবুতভাবে স্থাপিত ডেক নির্মাণের। হে দাউদের পরিবার! তোমরা কৃতজ্ঞতার সাথে কাজ করো। তবে আমার বান্দাদের অল্প লোকই শোকর আদায়কারী। |
34-14 : আমরা যখন সুলাইমানের মউত ঘটালাম, তখন তার মৃত্যুর ঘটনা জানালো কেবল মাটির পোকা, যারা তার লাঠি খাচ্ছিল। যখন সে পড়ে গেলো, তখন জিনেরা বুঝতে পারলো যে, তারা যদি গায়েব জানতো, তাহলে তাদেরকে এই লাঞ্ছনাকর শাস্তিতে আবদ্ধ থাকতে হতো না। |
34-15 : সাবা বাসীদের জন্যে তাদের বসত ভূমিতে ছিলো একটি নিদর্শন। দুটি উদ্যান ছিলো, একটি ডানদিকে, একটি বামদিকে। তাদের বলা হয়েছিল: তোমরা তোমাদের প্রভুর দেয়া জীবিকা ভোগ করো আর তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো। উত্তম নগরী এবং ক্ষমাশীল প্রভু। |
34-16 : পরে তারা অবাধ্য হয়ে পড়ে। ফলে আমরা তাদের উপর প্রবাহিত করে দিলাম বাঁধভাংগা বন্যা, আর উদ্যান দুটিকে বদল করে দিলাম এমন দুটি উদ্যানে যেগুলোতে উৎপন্ন হয় বিস্বাদ ফলমূল, ঝাউ গাছ আর কিছু কুল গাছ। |
34-17 : আমরা তাদের এই শাস্তি দিয়েছিলাম তাদের কুফুরির কারণে। আমরা অকৃতজ্ঞদের ছাড়া আর কাউকেও এ রকম শাস্তি দেই না। |
34-18 : তাদের এবং যেসব জনপদের প্রতি আমরা অনুগ্রহ করেছিলাম, সেগুলোর মধ্যবর্তী স্থানে প্রকাশ্য বহু জনপদ স্থাপন করেছিলাম এবং সেসব জনপদে ভ্রমণের যথাযথ ব্যবস্থা করেছিলাম আর তাদের বলেছিলাম: তোমরা এসব জনপদে নিরাপদে ভ্রমণ করো দিনে এবং রাতে। |
34-19 : কিন্তু তারা বলেছিল: ‘আমাদের প্রভু! আমাদের সফরের মনযিলের ব্যবধান বাড়িয়ে দাও।’ তারা নিজেদের প্রতি যুলুম করেছিল। ফলে আমরা তাদেরকে কাহিনীর বিষয়বস্তুতে পরিণত করে দিয়েছিলাম, আর তাদেরকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিলাম। নিশ্চয়ই এতে রয়েছে অনেক নিদর্শন প্রত্যেক ধৈর্যশীল কৃতজ্ঞ ব্যক্তির জন্যে। |
34-20 : তাদের উপর ইবলিস তার ধারণা সত্য প্রমাণ করেছিল, ফলে তাদের মধ্যে একটি মুমিন পক্ষ ছাড়া বাকি সকলেই তার ইত্তেবা করেছিল। |
34-21 : অথচ তাদের উপর ইবলিসের কোনো আধিপত্য ছিলনা। কারা আখিরাতে বিশ্বাসী, আর কারা তাতে সন্দিহান তা প্রকাশ করে দেয়াই ছিলো আমার উদ্দেশ্য। তোমার প্রভু প্রতিটি বিষয়ে হিফাযতকারী। |
34-22 : বলো: ‘‘তোমরা আল্লাহর পরিবর্তে যাদের ইলাহ্ মনে করো তাদের ডাকো। তারা মহাকাশ এবং পৃথিবীতে অণু পরিমাণ কিছুরও মালিক নয়। মহাকাশ এবং পৃথিবীর মধ্যে কোনো কিছুতেই তাদের কোনো শিরক (অংশ) নেই এবং কেউই তাঁর (আল্লাহর) সাহায্যকারীও নয়। |
34-23 : তাঁর ওখানে কারো কোনো শাফায়াত বিন্দুমাত্র কাজে আসবেনা, তবে তিনি নিজেই যদি কাউকেও (কারো ব্যাপারে) সুপারিশ করার অনুমতি দেন সেটা ভিন্ন কথা। পরে যখন তাদের মন থেকে ভয় দূর হবে, তখন তারা একে অপরকে জিজ্ঞাসা করবে: ‘তোমাদের প্রভু কী বললেন?’ তারা বলবে: ‘তিনি সত্য বলেছেন।’ আর তিনি অতি মর্যাদাবান, অতিশয় মহান।’ |
34-24 : বলো: ‘আসমান এবং জমিন থেকে তোমাদের কে রিযিক দেন?’ বলো: ‘আল্লাহ্।’ হয় আমরা, না হয় তোমরা হিদায়াতের উপর প্রতিষ্ঠিত, অথবা সুস্পষ্ট গোমরাহিতে নিমজ্জিত। |
34-25 : বলো: ‘আমাদের অপরাধের জন্যে তোমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবেনা, আর তোমাদের কর্মকান্ডের জন্যেও আমাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবেনা।’ |
34-26 : বলো: ‘আমাদের প্রভু আমাদের সবাইকে একত্র করবেন তারপর আমাদের মাঝে ফায়সালা করে দেবেন ন্যায়সংগতভাবে। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ ফায়সালাকারী, সর্বজ্ঞানী।’ |
34-27 : বলো: ‘তোমরা যাদেরকে শরিক হিসেবে তাঁর সাথে জুড়ে দিয়েছো তাদের দেখাও তো আমাকে। না, কখনো নয় (তারা শরিক হতে পারে না), বরং একমাত্র আল্লাহ্ই মহাপরাক্রমশালী, মহাপ্রজ্ঞাবান।’ |
34-28 : আমরা তোমাকে রসূল বানিয়ে পাঠিয়েছি সমগ্র মানবজাতির জন্যে সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারী হিসেবে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই এলেম রাখেনা। |
34-29 : তারা জিজ্ঞাসা করে: ‘তোমরা যদি সত্যবাদী হও, তবে বলো, এই ওয়াদা কখন বাস্তবায়িত হবে?’ |
34-30 : তুমি বলো: ‘তোমাদের জন্যে রয়েছে একটি নির্ধারিত দিন, যা তোমরা মুহূর্তকালও না পিছিয়ে নিতে পারবে, আর না এগিয়ে আনতে পারবে।’ |
34-31 : কাফিররা বলে: ‘আমরা কখনো এই কুরআনের প্রতি ঈমান আনবো না, এর আগের কিতাবসমূহের প্রতিও ঈমান আনবো না।’ হায়, তোমরা যদি দেখতে, এই যালিমদের যখন তাদের প্রভুর সামনে দাঁড় করানো হবে, তখন তারা পরস্পর বাদ - প্রতিবাদ করতে থাকবে। যাদেরকে (পৃথিবীতে) দুর্বল করে রাখা হয়েছিল, তারা ক্ষমতাদর্পীদের বলবে: ‘তোমরা না থাকলে আমরা অবশ্যি মুমিন হতাম।’ |
34-32 : দাম্ভিক ক্ষমতাদর্পীরা দুর্বল করে রাখাদের বলবে: ‘তোমাদের কাছে হিদায়াত সুস্পষ্টভাবে এসে যাওয়ার পরও কি আমরাই তোমাদেরকে তা থেকে বাধা দিয়েছিলাম? বরং তোমরা নিজেরাই ছিলে অপরাধী।’ |
34-33 : দুর্বল করে রাখা লোকেরা ক্ষমতাদর্পীদের বলবে: ‘তোমরাই তো দিনরাত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলে, আমাদের নির্দেশ দিয়েছিলে যেনো আমরা আল্লাহর প্রতি কুফুরি করি এবং তাঁর সাথে শরিক করি।’ যখন তারা আযাব দেখতে পাবে, তখন তারা লজ্জা ও অনুতাপ গোপন করবে এবং আমরা কাফিরদের গলায় শিকল পরিয়ে দেবো। তারা যেসব কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলো, তাদেরকে তারই প্রতিফল দেয়া হবে মাত্র। |
34-34 : আমরা যখনই কোনো জনপদে সতর্ককারী পাঠিয়েছি, তখনই সেখানকার সম্পদশালী সীমালংঘনকারীরা বলেছে: ‘তোমরা যা নিয়ে প্রেরিত হয়েছো, তা আমরা অস্বীকার করছি।’ |
34-35 : তারা আরো বলেছে: ‘ধনে জনে আমরা সমৃদ্ধশালী, আমাদের প্রতি কিছুতেই আযাব আসতে পারবে না।’ |
34-36 : বলো: ‘নিশ্চয়ই আমার প্রভু যাকে ইচ্ছা রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং যাকে ইচ্ছা করে দেন সীমিত। তবে অধিকাংশ মানুষই তা জানেনা।’ |
34-37 : তোমাদের ধনমাল এবং সন্তান - সন্ততি এমন জিনিস নয় যা তোমাদেরকে আমাদের নিকটবর্তী করে দেবে। তবে যারা ঈমান আনে এবং আমলে সালেহ্ করে, তারাই তাদের আমলের জন্যে পাবে বহুগুণ বেশি পুরস্কার। তারা প্রাসাদসমূহের মধ্যে থাকবে সদা নিরাপদ। |
34-38 : যারা আমাদের আয়াতকে ব্যর্থ করার চেষ্টা করবে, তারাই সদা উপস্থিত থাকবে আযাবের মধ্যে। |
34-39 : বলো: ‘আমার প্রভু তার বান্দাদের যাকে ইচ্ছা রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং যাকে ইচ্ছা করে দেন সীমিত। তোমরা আল্লাহর পথে যা কিছু ব্যয় করবে, আল্লাহ্ তার প্রতিদান দেবেন। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা।’ |
34-40 : যেদিন তিনি তাদের সবাইকে হাশর করবেন, তারপর ফেরেশতাদের বলবেন: ‘এরা কি তোমাদের ইবাদত করতো?’ |
34-41 : তারা বলবে: ‘তুমি পবিত্র ও মহান, ওরা নয়, তুমিই আমাদের প্রভু, বরং তারা ইবাদত করতো জিনদের (শয়তানদের)। তাদের অধিকাংশই তাদের প্রতি ঈমান রাখতো।’ |
34-42 : ফলে আজ তোমাদের একের ক্ষমতা নেই অপরের লাভ কিংবা ক্ষতি করার। আমরা যালিমদের বলবো: ‘আগুনের আযাবের স্বাদ গ্রহণ করো, যে আযাবকে তোমরা অস্বীকার করতে। |
34-43 : যখন তাদের প্রতি আমাদের সুস্পষ্ট আয়াত তিলাওয়াত করা হতো তারা বলতো: ‘তোমাদের পূর্ব পুরুষরা যাদের ইবাদত করতো এ ব্যক্তি তো তাদের ইবাদত থেকে তোমাদের বাধা দিতে চায়।’ তারা আরো বলতো: ‘এ তো এক মিথ্যা রচনা ছাড়া আর কিছুই নয়।’ কাফিররা সত্য আসার পর সত্য সম্পর্কে আরো বলতো: ‘এ তো এক সুস্পষ্ট ম্যাজিক।’ |
34-44 : আমরা তাদেরকে পূর্বে কোনো কিতাব দিইনি যা তারা পড়তো এবং তোমার আগে তাদের কাছে আমরা কোনো সতর্ককারীও পাঠাইনি। |
34-45 : তাদের আগেকার লোকেরাও অস্বীকার করেছিল। আমরা তাদেরকে যা দিয়েছিলাম এরা তার এক দশমাংশও পায়নি। তা সত্ত্বেও তারা আমার রসূলদের প্রত্যাখ্যান করেছিল। ফলে কতো যে ভয়াবহ হয়েছিল আমার শাস্তি! |
34-46 : বলো, আমি তোমাদের একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছি তাহলো: তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দাঁড়াও দুইজন এবং একজন করে, তারপর তোমরা চিন্তা করে দেখো, তোমাদের সাথি মোটেও জিনে ধরা ব্যক্তি নয়। সে তো কেবল তোমাদের জন্যে একজন সতর্ককারী আসন্ন কঠিন আযাব সম্পর্কে। |
34-47 : বলো: ‘আমি তো তোমাদের কাছে কোনো পারিশ্রমিক চেয়ে থাকলে তা তোমাদেরই। আমার পুরস্কার তো রয়েছে আল্লাহর কাছে। তিনি প্রতিটি বিষয়ের সাক্ষী।’ |
34-48 : বলো: ‘আমার প্রভু সত্য দিয়ে (অসত্যকে) আঘাত করেন। তিনি গায়েবের আল্লামা (মহাজ্ঞানী)।’ |
34-49 : বলো: ‘সত্য এসেছে, আর অসত্য নতুন সৃষ্টি করতেও পারে না এবং তা পুনসৃষ্টিও করতে পারে না।’ |
34-50 : বলো: ‘আমি যদি পথভ্রষ্ট হয়েই থাকি, তবে সেটার পরিণতি আমাকেই ভোগ করতে হবে। আর আমি যদি সঠিক পথে থেকে থাকি, তবে তার কারণ, আমার প্রভু আমার প্রতি অহি করেন। তিনি সর্বশ্রোতা, নিকটবর্তী।’ |
34-51 : তুমি যদি দেখতে, যখন তারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়বে, তখন তারা অব্যাহতি পাবে না এবং খুব কাছে থেকেই তাদের ধরা হবে। |
34-52 : তখন তারা বলবে: ‘আমরা সেটার (পরকালের) প্রতি ঈমান আনলাম’, কিন্তু এখন আর নাগালের বাইরে চলে যাওয়া জিনিসের নাগাল পাবে কিভাবে? |
34-53 : ইতোপূর্বে (পৃথিবীতে) তো তারা সেটার প্রতি কুফুরি করেছিল এবং আন্দাজে অনেক দূর থেকে কথা বানিয়ে আনতো। |
34-54 : তাদের এবং তাদের চাওয়ার মধ্যে অন্তরায় সৃষ্টি করে দেয়া হয়েছে, যেমন ইতোপূর্বে করা হয়েছিল তাদের সমপন্থীদের ক্ষেত্রে। তারা ছিলো বিভ্রান্তিকর সন্দেহের মধ্যে। |