আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, আবদুস শহীদ নাসিম, Chapter: 35, ফাতির (সৃষ্টির সূচনাকারী)

Go Back
Book Id: 10030

আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, আবদুস শহীদ নাসিম

Chapter: 35, ফাতির (সৃষ্টির সূচনাকারী)



মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ৪৫, রুকু সংখ্যা: ০৫

এই সূরার আলোচ্যসূচি

আয়াতআলোচ্য বিষয়
০১-০৭আল্লাহ্ ফেরেশতাদের বার্তাবাহক বানান এবং তাদের ডানা আছে। পূর্ববর্তী অনেক রসূলকেই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল। দুনিয়ার জীবন এবং শয়তান যেনো তোমাদের প্রতারিত না করে।
০৮-১৪প্রত্যাখ্যানকারীদের জন্য দুঃখ করোনা। পুনরুত্থানের যুক্তি। তাওহীদের যুক্তি।
১৫-৩৭মানুষ আল্লাহর মুখাপেক্ষী। কেউ কারো পাপের বোঝা বইবেনা। আত্মশুদ্ধিতে ব্যক্তিরই কল্যাণ। অন্ধকার আর আলো এক নয়। চিন্তাশীল, জ্ঞানীরাই আল্লাহকে ভয় করে। ভালো কাজের প্রতিযোগিতাকারীদের জন্য সুসংবাদ।
৩৮-৩৯আল্লাহ্ মানুষকে পৃথিবীর প্রতিনিধি বানিয়েছেন। অকৃতজ্ঞদের জন্য রয়েছে ধ্বংস।
৪০-৪৫যাদেরকে আল্লাহর সাথে শরিক করা হয় তারা সম্পূর্ণ অক্ষম। রসূলকে প্রত্যাখ্যানকারীরা আল্লাহর পাকড়াও থেকে রক্ষা পাবেনা। দুনিয়ার জীবনে আল্লাহ্ কিছুটা অবকাশ দেন মাত্র।
35-1 : আলহামদু লিল্লাহ - সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি মহাকাশ ও পৃথিবীর স্রষ্টা, যিনি ফেরেশতাদের বার্তাবাহক নিয়োগ করেন, যারা দুই দুই, তিন তিন কিংবা চার চার পাখা বিশিষ্ট। তিনি সৃষ্টিতে বৃদ্ধি করেন যা ইচ্ছা করেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ প্রতিটি বিষয়ের উপর শক্তিমান।
35-2 : আল্লাহ্ মানুষের প্রতি কোনো রহমত খুলে দিলে তা রোধ করার কেউ নেই। আর তিনি নিজেই কিছু বন্ধ করে দিতে চাইলে তারপর তা উন্মুক্ত করারও কেউ নেই। তিনি মহাপরাক্রমশালী, অতীব প্রজ্ঞাবান।
35-3 : হে মানুষ! তোমরা স্মরণ করো তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহের কথা। আল্লাহ্ ছাড়া এমন কোনো স্রষ্টা আছে কি, যে আকাশ এবং পৃথিবী থেকে তোমাদের রিযিক প্রদান করে। কোনো ইলাহ্ নেই তিনি ছাড়া। সুতরাং তোমরা ভুল পথে যাচ্ছো কোথায়?
35-4 : তারা যদি তোমাকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করেই, তবে তোমার আগেও বহু রসূলকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। সব বিষয় শেষ পর্যন্ত ফিরে যায় আল্লাহর কাছেই।
35-5 : হে মানুষ! নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং দুনিয়ার জীবন যেনো তোমাদের প্রতারিত না করে। আর বড় প্রতারকও যেনো তোমাদেরকে আল্লাহর ব্যাপারে প্রতারিত না করে।
35-6 : শয়তান তোমাদের শত্রু। সুতরাং তাকে শত্রু হিসেবে গ্রহণ করো। সে তো তার অনুসারী দলবলকে আহবান জানায়, যেনো তারা সায়ীরের (জাহান্নামের) পথিক হয়ে যায়।
35-7 : যারা কুফুরি করে তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব। আর যারা ঈমান আনে এবং আমলে সালেহ্ করে, তাদের জন্যে রয়েছে মাগফিরাত এবং মহাপুরস্কার।
35-8 : ঐ ব্যক্তি যার কাছে তার মন্দ কাজ চাকচিক্যময় করে দেয়া হয় এবং সে সেটাকেই উত্তম মনে করে, সে কি সঠিক পথের অনুসারীর সমতুল্য? নিশ্চয়ই আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা গোমরাহ করেন, আর সঠিক পথ দেখান যাকে ইচ্ছা করেন। অতএব তুমি তাদের জন্যে আক্ষেপ করে তোমার জীবন ধ্বংস করোনা। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ জানেন তারা যা করে।
35-9 : আল্লাহ্, তিনিই বাতাস পাঠান, তা দিয়ে পরিচালিত করেন মেঘমালা। তারপর আমরা তা মৃত ভূ - খন্ডের দিকে পরিচালিত করি। তারপর তা দিয়ে আমরা মৃত জমিনকে জীবিত করি। এভাবেই মৃত্যুর পর (মানুষকে) পুনরায় জীবিত করে উঠানো হবে।
35-10 : কেউ যদি ইযযত লাভ করতে চায়, সে জেনে রাখুক, ইযযত পুরোটাই আল্লাহর। তাঁর দিকেই উত্থিত হয় পবিত্র বাণীসমূহ এবং সেগুলোকে উত্থিত করে আমলে সালেহ্। যারা দুষ্কর্মের চক্রান্ত করে, তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব। আর তাদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবেই।
35-11 : আল্লাহ্ তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটি থেকে, তারপর নোতফা (শুক্রবিন্দু) থেকে, তারপর তোমাদের বানিয়ে দিয়েছেন যুগল। আল্লাহর এলেমের মধ্যে ছাড়া কোনো নারী গর্ভও ধারণ করেনা, প্রসবও করেনা। কোনো দীর্ঘায়ু ব্যক্তির বয়স বাড়ানো হয়না, কিংবা তা থেকে কমানোও হয়না, যা একটি কিতাবে লেখা থাকেনা। এটা আল্লাহর জন্যে খুবই সহজ।
35-12 : দরিয়া দুটি সমতুল্য নয়। এটির পানি মুখরোচক, মিষ্টি, সুপেয়। আর ওটির পানি লোনা, খর। প্রত্যেকটি থেকেই তোমরা তাজা গোশত (মাছ) আহার করো এবং বের করে আনো অলংকার সামগ্রী যা তোমরা পরিধান করো। তোমরা দেখতে পাও, সেগুলোর বুক চিরে চলাচল করে নৌযান, যাতে তোমরা তাঁর অনুগ্রহ সন্ধান করতে পারো এবং আদায় করতে পারো তাঁর শোকরিয়া।
35-13 : তিনি রাতকে প্রবেশ করিয়ে দেন দিনের মধ্যে এবং দিনকে প্রবেশ করিয়ে দেন রাতের মধ্যে। তিনি তাঁর নিয়মের অধীন করে দিয়েছেন সূর্য আর চাঁদকে। প্রত্যেকেই ভ্রমণ করে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে। তিনিই আল্লাহ্, তোমাদের প্রভু। সমগ্র কর্তৃত্ব তাঁর। তোমরা তাঁর পরিবর্তে যাদেরকে ডাকো তারা খেজুর আঁটির উপরের আবরণের সমান কর্তৃত্বও রাখেনা।
35-14 : তোমরা তাদের ডাকলে তারা তোমাদের ডাক শুনেনা, শুনলেও সাড়া দেয়না। তোমরা যে তাদের শরিক বানিয়েছো কিয়ামতের দিন তারা তা অস্বীকার করবে। সর্বজ্ঞানী আল্লাহর মতো কেউই তোমাকে সংবাদ দিতে পারেনা।
35-15 : হে মানুষ! তোমরা আল্লাহর নিকট ফকির - আল্লাহর মুখাপেক্ষী, অথচ আল্লাহ্ মুখাপেক্ষাহীন সপ্রশংসিত।
35-16 : তিনি চাইলে তোমাদের সরিয়ে দিতে পারেন এবং নিয়ে আসতে পারেন একটি নতুন সৃষ্টি।
35-17 : এটা আল্লাহর জন্যে মোটেও কঠিন নয়।
35-18 : কোনো বোঝা বহনকারী অপরের বোঝা বহন করবেনা। কোনো ভারবাহী ব্যক্তি যদি কাউকেও তার বোঝা বহন করতে ডাকে, তবে নিকটাত্মীয় হলেও সামান্য ভারও বহন করে দেবেনা। তুমি তো কেবল তাদেরকেই সতর্ক করতে পারো, যারা না দেখেও তাদের প্রভুকে ভয় করে এবং সালাত কায়েম করে। যে আত্মোন্নয়ন করবে, সে আত্মোন্নয়ন করবে নিজের কল্যাণের জন্যেই। সবার প্রত্যাবর্তন হবে আল্লাহরই দিকে।
35-19 : অন্ধ আর চক্ষুষ্মান সমতুল্য নয়,
35-20 : আর সমতুল্য নয় অন্ধকাররাশি আর আলো,
35-21 : সমতুল্য নয় রোদ আর ছায়া,
35-22 : এবং সমতুল্য নয় জীবিতরা আর মৃতরা। আল্লাহ্ যাকে ইচ্ছা করেন শুনার (বুঝার) তৌফিক দেন, কিন্তু যারা কবরে রয়েছে তুমি কিছুতেই তাদের শুনাতে পারবেনা।
35-23 : তুমি একজন সতর্ককারী ছাড়া কিছু নও।
35-24 : আমরা সত্যসহ তোমাকে রসূল বানিয়ে পাঠিয়েছি সুসংবাদদাতা এবং সতর্ককারী হিসেবে। এমন কোনো উম্মত ছিলনা যার কাছে আমরা সতর্ককারী পাঠাইনি।
35-25 : এরা যদি তোমাকে মিথ্যা বলে প্রত্যাখ্যান করে, তবে তাদের আগেকার লোকেরাও এভাবে প্রত্যাখ্যান করেছিল। তাদের কাছে রসূলরা সুস্পষ্ট নিদর্শনসমূহ নিয়ে এসেছিল, গ্রন্থাবলি এবং আলোদানকারী কিতাব নিয়ে এসেছিল,
35-26 : তারপর যারা কুফুরি করেছিল আমরা তাদের পাকড়াও করেছিলাম, কী যে ভয়ংকর ছিলো সে পাকড়াও।
35-27 : তুমি দেখোনা, আল্লাহ্ নাযিল করেন আসমান থেকে পানি, তারপর তা দিয়ে আমরা উৎপন্ন করি নানা রঙের ফলফলারি? আর পাহাড়ের মধ্যেও আছে নানা বর্ণের পাথর - শুভ্র সাদা, বিচিত্র লাল, নিকষ কালো।
35-28 : এভাবে মানুষ, জীব - জন্তু এবং পশুর মধ্যেও রয়েছে নানা রঙ, নানা বর্ণ। নিশ্চয়ই আল্লাহকে ভয় করে তাঁর বান্দাদের মধ্যে যারা জ্ঞানী তারা। অবশ্যি আল্লাহ্ মহাপরাক্রমশালী, অতীব ক্ষমাশীল।
35-29 : নিশ্চয়ই যারা তিলাওয়াত করে আল্লাহর কিতাব, কায়েম করে সালাত, আর আল্লাহ্ তাদের যে রিযিক দিয়েছেন তা থেকে (আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে) ব্যয় করে গোপনে এবং প্রকাশ্যে, তারাই আশা করে এমন তিজারতের (ব্যবসায়ের) যার কোনোই ক্ষয় নেই।
35-30 : কারণ, আল্লাহ্ তাদের প্রচেষ্টার পূর্ণ প্রতিদান দেবেন এবং নিজের অনুগ্রহ থেকে আরো অধিক দেবেন। নিশ্চয়ই তিনি ক্ষমাশীল গুণগ্রাহী।
35-31 : আমরা তোমার প্রতি যে কিতাব নাযিল করেছি তা মহাসত্য, এটি তার পূর্ববর্তী কিতাবসমূহের সত্যায়নকারী। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁর দাসদের সবকিছু জানেন এবং দেখেন।
35-32 : তারপর আমরা কিতাবের ওয়ারিশ বানালাম আমাদের বান্দাদের মধ্যে যাদের মনোনীত করেছি তাদের। তাদের মধ্যে রয়েছে কেউ নিজের প্রতি যুলুমকারী, কেউ মধ্যপন্থী, আর কেউ আল্লাহর ইচ্ছায় কল্যাণের কাজে অগ্রগামী। এ এক মহাঅনুগ্রহ।
35-33 : চিরস্থায়ী জান্নাতে তারা দাখিল হবে। সেখানে তাদের অলংকার পরানো হবে সোনার কংকন, মুক্তার অলংকার আর তাদের পোশাক হবে রেশমি।
35-34 : তারা বলবে: ‘‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি দূর করে দিয়েছেন আমাদের সব দুঃখ - দুশ্চিন্তা। নিশ্চয়ই আমাদের প্রভু পরম ক্ষমাশীল, গুণগ্রাহী,
35-35 : যিনি অনুগ্রহ করে আমাদের দিয়েছেন স্থায়ী আবাস, যেখানে আমাদের স্পর্শ করেনা কোনো কষ্ট, কিংবা কোনো ক্লান্তি।’’
35-36 : আর যারা কুফুরি করে তাদের জন্যে রয়েছে জাহান্নাম। সেখানে তাদের জন্যে মৃত্যুর ফায়সালা দেয়া হবেনা, ফলে তারা আর মরবেনা এবং তাদের থেকে আযাবও লাঘব করা হবেনা। এভাবেই আমরা শাস্তি দেবো প্রত্যেক অকৃতজ্ঞকে।
35-37 : তারা সেখানে আর্তনাদ করে বলবে: ‘আমাদের প্রভু! আমাদের এখান থেকে বের করো। এতোদিন আমরা যে আমল করেছি, তার পরিবর্তে আমরা এখন থেকে পুণ্য কাজ করবো।’ (আল্লাহ্ বলবেন:) ‘আমরা কি তোমাদের একটা দীর্ঘ জীবন দেইনি, যাতে কেউ সতর্ক হতে চাইলে সতর্ক হতে পারতো? তাছাড়া তোমাদের কাছে সতর্ককারীও এসেছিল। সুতরাং এখন আস্বাদন করো আযাব, যালিমদের জন্যে কোনো সাহায্যকারী নেই।’
35-38 : নিশ্চয়ই আল্লাহ্ মহাকাশ এবং পৃথিবীর গায়েব - এর জ্ঞানী, নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তোমাদের অন্তরে যা আছে সে বিষয়ে জ্ঞানী।
35-39 : তিনিই তোমাদের বানিয়েছেন পৃথিবীর প্রতিনিধি। সুতরাং যে কেউ কুফুরি করবে, তার কুফুরির দায় তাকেই বহন করতে হবে। কাফিরদের কুফুরি কেবল তাদের প্রভুর ক্রোধই বৃদ্ধি করে এবং কাফিরদের কুফুরি কেবল তাদের ক্ষতিই বাড়িয়ে দেয়।
35-40 : হে নবী! তাদের বলো: ‘তোমরা ভেবে দেখেছো কি তোমাদের সেইসব শরিকদের কথা, আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যাদের ডাকো, আমাকে দেখাও আল্লাহর পরিবর্তে তারা কী সৃষ্টি করেছে? নাকি মহাকাশ সৃষ্টিতে তাদের কোনো অংশ আছে? নাকি আমরা তাদের কোনো কিতাব দিয়েছি যার প্রমাণের উপর তারা নির্ভর করে? বরং যালিমরা নিজেরাই নিজেদের পরস্পরকে মিথ্যা ও প্রতারণামূলক ওয়াদা দিয়ে থাকে।’
35-41 : আল্লাহ্ই মহাকাশ ও পৃথিবীকে সংরক্ষণ করে রাখেন যাতে সেগুলোর পতন না হয়। সেগুলোর যদি পতন হয়ই তবে তিনি ছাড়া আর কে আছে, যে সেগুলোর পতন রোধ করবে? তিনি অতীব সহনশীল ক্ষমাপরায়ণ।
35-42 : তারা দৃঢ়তার সাথে আল্লাহর কসম খেয়ে বলতো, তাদের কাছে যদি সতর্ককারী আসে, তবে তারা অন্যান্য সম্প্রদায়ের চাইতে হিদায়াতের অধিকতর অনুসারী হবে। কিন্তু যখন তাদের কাছে সতর্ককারী এলো, তখন তার আগমন তাদের পলায়নই বৃদ্ধি করে দিলো,
35-43 : পৃথিবীতে তাদের দাম্ভিকতা প্রকাশ ও নিকৃষ্ট কুটকৌশলের কারণে। নিকৃষ্ট কুটকৌশল তার উদ্যোক্তাদেরই পরিবেষ্টন করে। তবে কি তারা আগেকার লোকদের রীতিরই অপেক্ষা করছে? তোমরা কখনো আল্লাহর সুন্নতে কোনো পরিবর্তন পাবেনা এবং তোমরা আল্লাহর সুন্নতে (বিধানে) কোনো ব্যতিক্রমও পাবেনা।
35-44 : তারা কি পৃথিবীতে ভ্রমণ করে দেখেনা? তাহলে তাদের আগেকার লোকদের পরিণতি কী হয়েছিল তা দেখতে পেতো। তারা তো এদের চাইতেও অধিকতর শক্তিশালী ছিলো। মহাকাশ ও পৃথিবীতে কোনো কিছুই আল্লাহকে অক্ষম করার ক্ষমতা রাখেনা। নিশ্চয়ই তিনি অতীব জ্ঞানী এবং শক্তিমান।
35-45 : আল্লাহ্ যদি মানুষকে তাদের কৃতকর্মের জন্যে পাকড়াও করতেন, জমিনের বুকে কোনো জীব - জন্তুকেই রেহাই দিতেন না। তবে তিনি একটি নির্দিষ্টকাল পর্যন্ত তাদের অবকাশ দিয়ে থাকেন। কিন্তু যখনই তাদের নির্ধারিত কাল এসে যাবে, আল্লাহ্ অবশ্যি বান্দাদের প্রতি দৃষ্টি রাখবেন।