আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, আবদুস শহীদ নাসিম, Chapter: 38, ছোয়াদ

Go Back
Book Id: 10030

আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, আবদুস শহীদ নাসিম

Chapter: 38, ছোয়াদ



মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ৮৮, রুকু সংখ্যা: ০৫

এই সূরার আলোচ্যসূচি

আয়াতআলোচ্য বিষয়
০১-১৬আল্লাহর কিতাব, আল্লাহর রসূল ও আল্লাহর একত্বের বিরুদ্ধে কাফিরদের অভিযোগ আপত্তি। তাদের জন্য আল্লাহর আযাব অনিবার্য।
১৭-২৬মুহম্মদ সা.-কে সবর অবলম্বনের নির্দেশ। দাউদ আ.-এর উপমা। দাউদের প্রতি রাষ্ট্র ও জনগণকে পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজের ইচ্ছা বাসনা পরিহার করার নির্দেশ।
২৭-২৯আল্লাহ্ অকারণে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেননি। তিনি কুরআন নাযিল করেছেন অনুধাবন ও অনুসরণ করার জন্যে।
৩০-৪০দাউদের পুত্র সুলাইমানের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ।
৪১-৪৪আইউব আ.-এর প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ।
৪৫-৪৮ইবরাহিম, ইসহাক, ইয়াকুব, ইসমাঈল, ইউশা ও যুলকিফল-এর প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ।
৪৯-৭০মুত্তাকিদের পরিণতি ও বিদ্রোহীদের পরিণতি। মানুষের সাথে ইবলিসের শত্রুতার সূচনা ও ইতিহাস। শয়তানের অনুসারীরা শয়তানের সাথেই জাহান্নামে যাবে।
38-1 : সোয়াদ, উপদেশে পরিপূর্ণ আল কুরআনের শপথ।
38-2 : বরং যারা কুফুরি করেছে তারাই রয়েছে চরম হঠকারিতা আর বিরোধিতায় নিমজ্জিত।
38-3 : তাদের আগে আমরা ধ্বংস করেছি কতো যে প্রজন্মকে, তখন তারা আর্তচিৎকার করেছিল, কিন্তু উদ্ধার পাওয়ার কোনো উপায় আর তখন ছিলনা।
38-4 : তারা বিস্ময় প্রকাশ করছে যে, তাদের মধ্য থেকেই তাদের কাছে একজন সতর্ককারী এসেছে। কাফিররা বলছে: ‘‘এতো এক মিথ্যাবাদী ম্যাজেসিয়ান।
38-5 : সে কি সব ইলাহকে এক ইলাহ্ বানিয়ে নিয়েছে? এ তো এক বিস্ময়কর জিনিস।’’
38-6 : সে কি সব ইলাহকে এক ইলাহ্ বানিয়ে নিয়েছে? এ তো এক বিস্ময়কর জিনিস।’’
38-7 : আমরা তো অন্যান্য ধর্মে এ ধরণের কথা শুনিনি। এগুলো মনগড়া কথা ছাড়া আর কিছু নয়।
38-8 : আমাদের মধ্য থেকে কি তার প্রতিই যিকির (কুরআন) নাযিল করা হলো?’’ আসল কথা হলো, আমার যিকির (কুরআন) সম্পর্কেই তাদের সন্দেহ রয়েছে। তারা তো এখনো আমার আযাবের স্বাদ আস্বাদন করেনি।
38-9 : নাকি, তাদের কাছে রয়েছে তোমার প্রভুর রহমতের ভান্ডার, যিনি মহাশক্তিধর ও মহাদানশীল?
38-10 : নাকি মহাকাশ, পৃথিবী এবং এগুলোর মধ্যবর্তী সবকিছুর কর্তৃত্ব তাদের হাতে? তাহলে তারা সিঁড়ি লাগিয়ে উপরে উঠুক।
38-11 : (অতীতে ধ্বংস হওয়া) বহু দলের মধ্যে এতো ছোট্ট একটি দল। দলের এই বাহিনীও পরাজিত হবে।
38-12 : এদের আগেও রসূলদের প্রত্যাখ্যান করেছিল নূহের কওম, আদ জাতি এবং খুঁটি ও লাঠির অধিপতি ফেরাউন,
38-13 : সামুদ জাতি, লুতের কওম এবং আইকার অধিবাসীরা। তারা প্রত্যেকেই ছিলো বিশাল বিশাল বাহিনী।
38-14 : এরা প্রত্যেকেই রসূলদের প্রত্যাখ্যান করেছিল। ফলে তাদের প্রতি সত্য প্রমাণিত হয়েছে শাস্তির ওয়াদা।
38-15 : তারা তো অপেক্ষা করছে একটি প্রচন্ড শব্দের জন্যে, যাতে কোনো বিরতি থাকবে না।
38-16 : তারা বলে: ‘আমাদের প্রভু, বিচার দিনের আগেই আমাদের প্রাপ্য অংশ আমাদের দিয়ে দিন।’
38-17 : তারা যা বলে, তার জন্যে তুমি সবর অবলম্বন করো আর স্মরণ করো আমার হাতওয়ালা (ক্ষমতাপ্রাপ্ত) দাস দাউদকে। সে ছিলো আমার অভিমুখী।
38-18 : আমরা পাহাড় পর্বতকে নিয়োজিত রেখেছিলাম যেনো সকাল - সন্ধ্যায় তার সাথে আমার তসবিহ্ করে।
38-19 : আর পাখিরাও তার কাছে জড়ো হতো, প্রত্যেকেই ছিলো তার অনুগত।
38-20 : আমরা তার সাম্রাজ্যকে সুদৃঢ় করে দিয়েছিলাম আর তাকে দিয়েছিলাম হিকমা (প্রজ্ঞা) এবং সিদ্ধান্তকর বক্তব্য রাখার ক্ষমতা।
38-21 : তোমার কাছে কি বিবাদকারীদের সংবাদ পৌঁছেছে? যখন তারা প্রাচীর ডিঙ্গিয়ে মেহরাবে এসেছিল।
38-22 : তারা দাউদের কাছে প্রবেশ করেছিল। তাদের দেখে দাউদ ভীত হয়ে পড়ে। তারা বললো: ‘‘আপনি ভীত হবেননা, আমরা দুটি বিবদমান পক্ষ। একে অপরের প্রতি বাড়াবাড়ি করেছি। আপনি আমাদের মাঝে ন্যায় বিচার করে দিন। অবিচার করবেন না এবং আমাদেরকে সঠিক পথের নির্দেশনা দিন:
38-23 : এ আমার ভাই। তার আছে নিরানব্বইটি দুম্বা আর আমার আছে মাত্র একটি দুম্বা। তবু সে বলে: ‘তোমারটি আমার যিম্মায় দিয়ে দাও’ এবং কথায় সে আমার প্রতি কঠোর হয়েছে।’’
38-24 : দাউদ বললো: ‘তোমার দুম্বাটিকে তার দুম্বার সাথে একত্র করার দাবি করে সে তোমার প্রতি যুলুম (অন্যায়) করেছে। শরিকদের অনেকেই একে অপরের উপর যুলুম করে থাকে, তবে যারা ঈমান আনে এবং আমলে সালেহ্ করে তারা নয়, অবশ্য তারা সংখ্যায় স্বল্প।’ দাউদ বুঝতে পারলো, আমরা তাকে পরীক্ষা করেছি, তাই সে তার প্রভুর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করলো এবং নত হয়ে লুটিয়ে পড়লো এবং তাঁর অভিমুখী হলো। (সাজদা)
38-25 : তখন আমরা তাকে ক্ষমা করে দিলাম। আমাদের কাছে তার জন্যে রয়েছে নৈকট্যের মর্যাদা আর সুন্দর পরিণাম।
38-26 : (আমরা তাকে বলেছিলাম:) ‘হে দাউদ! আমরা তোমাকে ভূ - খন্ডের খলিফা (শাসক) বানিয়েছি, সুতরাং তুমি জনগণের মাঝে সুবিচার করো, নিজস্ব চিন্তা - বাসনার অনুসরণ করোনা, করলে সেটা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যূত করে দেবে। নিশ্চয়ই যারা আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত হয়, তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব, কারণ তারা হিসাবের দিনটিকে ভুলে যায়।’
38-27 : আমরা আসমান, জমিন এবং এ দুয়ের মাঝখানে যা কিছু আছে কোনো কিছুই নিরর্থক সৃষ্টি করিনি। অনর্থক সৃষ্টির ধারণা করে তো কাফিররা। সুতরাং কাফিরদের জন্যে রয়েছে আগুনের আযাব।
38-28 : যারা ঈমান আনে এবং আমলে সালেহ্ করে তাদেরকে কি আমরা পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টিকারীদের সমতুল্য গণ্য করবো, নাকি মুত্তাকিদের গণ্য করবো ফুজ্জারদের (পাপিষ্ঠদের) সমতুল্য?
38-29 : এই কল্যাণময় কিতাব (আল কুরআন) আমরা তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যেনো মানুষ এর আয়াতসমূহ অনুধাবন করে এবং বুদ্ধিমান লোকেরা গ্রহণ করে উপদেশ।
38-30 : আমরা দাউদকে দান করেছিলাম (পুত্র) সুলাইমানকে। সে ছিলো আমাদের উত্তম দাস এবং অধিক অধিক আল্লাহমুখী।
38-31 : যখন অপরাহ্নে তার সামনে ধাবনোদ্যত উত্তম ঘোড়াগুলো হাজির করা হলো,
38-32 : সে বললো: ‘‘আমি তো আমার প্রভুর যিকির থেকে ঐশ্বর্যপ্রিয়তার দিকে অধিক নিমগ্ন হয়ে পড়েছি, এদিকে সূর্য অস্তমিত হয়ে গেলো।
38-33 : এগুলোকে আবার আমার সামনে নিয়ে এসো105।’’ তারপর সে সেগুলোর পা এবং গলা কেটে যবেহ করতে থাকলো।
38-34 : আমরা সুলাইমানকে পরীক্ষা করেছিলাম এবং তার কুরসির (চেয়ারের) উপর রেখেছিলাম একটি দেহ, ফলে সে আমার অভিমুখী হয়।
38-35 : সে বললো: ‘আমার প্রভু! আমাকে ক্ষমা করে দাও এবং আমাকে দান করো এমন একটি সাম্রাজ্য, যেমনটির অধিকারী যেনো আমার পরে আর কেউ না হয়। নিশ্চয়ই তুমি মহান দাতা।’
38-36 : ফলে আমরা বাতাসকে তার অধীন করে দিয়েছিলাম। বাতাস তার আদেশে কোমলভাবে প্রবাহিত হতো যেখানে সে ইচ্ছা করতো।
38-37 : এবং শয়তানদেরকেও (জিনদেরকেও) তার অধীন করে দিয়েছিলাম। তারা ছিলো ইমারত নির্মাণকারী আর ডুবুরি।
38-38 : আর শৃংখলে আবদ্ধ অনেককেও।
38-39 : (আমরা তাকে বলেছি: তোমার প্রতি) এগুলো আমাদের দান। এগুলো থেকে তুমি অন্যদের দিতে পারো কিংবা নিজে রাখতে পারো, এর জন্যে তোমাকে হিসাব দিতে হবেনা।
38-40 : আমাদের এখানে তার জন্যে রয়েছে নৈকট্যের মর্যাদা এবং উত্তম পরিণাম।
38-41 : স্মরণ করো আমাদের দাস আইউবকে। সে তার প্রভুকে ডেকে বলেছিল: ‘(প্রভু!) শয়তান আমাকে যন্ত্রণা আর কষ্টে ফেলেছে।’
38-42 : (আমরা তাকে বলেছিলাম:) ‘তুমি তোমার পা দিয়ে জমিনে আঘাত করো। এ হলো তোমার গোসলের সুশীতল পানি এবং পানীয় পানি।’
38-43 : আমরা তাকে দান করেছি তার পরিবারবর্গকে এবং অনুরূপ আরো, আমাদের পক্ষ থেকে রহমত (অনুগ্রহ) হিসাবে এবং বুদ্ধিমান লোকদের জন্যে উপদেশ হিসেবে।
38-44 : আমরা তাকে আরো আদেশ করলাম, এক মুষ্টি তৃণ নাও, তা দিয়ে আঘাত করো এবং শপথ ভঙ্গ করোনা। আমরা তাকে পেয়েছি ধৈর্যশীল। কতো যে উত্তম দাস ছিলো সে! আর সে ছিলো আমার অভিমুখী।
38-45 : স্মরণ করো আমাদের দাস ইবরাহিম, ইসহাক এবং ইয়াকুবকে। তারা ছিলো হাত এবং চোখওয়ালা (শক্তিশালী এবং দূরদৃষ্টি সম্পন্ন)।
38-46 : আমরা তাদের মনোনীত করেছিলাম বিশেষ গুণের জন্যে, আর তা ছিলো পরকালের স্মরণ।
38-47 : তারা ছিলো আমাদের মনোনীত উত্তম দাস।
38-48 : স্মরণ করো ইসমাঈল, আলইয়াসা এবং যুলকিফলের কথা। তারা সবাই ছিলো (আমাদের) উত্তম (দাস)।
38-49 : এগুলো সবই উপদেশ। আর মুত্তাকিদের জন্যে রয়েছে উত্তম আবাস,
38-50 : (তা হলো) চিরস্থায়ী জান্নাত, যার দ্বার রয়েছে তাদের জন্যে উন্মুক্ত।
38-51 : সেখানে তারা আসন গ্রহণ করবে হেলান দিয়ে। সেখানে তারা চাইবে নানা রকম ফলফলারি আর পানীয়।
38-52 : তাদের কাছে থাকবে আয়তনয়না সমবয়েসী নারীরা।
38-53 : তোমাদেরকে এসব কিছুর প্রতিশ্রুতি দেয়া হলো হিসাবের দিন দেয়ার জন্যে।
38-54 : এগুলো হবে আমাদের পক্ষ থেকে রিযিক। এগুলো কখনো ফুরাবে না।
38-55 : এই হবে (মুত্তাকিদের অবস্থা), আর সীমালংঘনকারীদের জন্যে রয়েছে নিকৃষ্ট পরিণাম।
38-56 : তাহলো জাহান্নাম। তাতেই প্রবেশ করবে তারা, আর সেটা কতো যে নিকৃষ্ট বিশ্রামাগার।
38-57 : এটাই হবে সীমা লঙ্ঘনকারীদের পরিণাম। সুতরাং তারা আস্বাদন করুক টগবগে ফুটন্ত গরম পানি আর পূঁজ,
38-58 : এবং এ রকম আরো অনেক ধরণের আযাব।
38-59 : (নিজেদের অনুসারীদের জাহান্নামে প্রবেশ করতে দেখে তারা বলবে:) ‘এই তো এক বাহিনী তোমাদের সাথে প্রবেশ করছে। তাদের প্রতি নেই কোনো অভিনন্দন। তারা তো জাহান্নামেই দগ্ধ হবে।’
38-60 : তারা (অনুসারীরা) বলবে: ‘বরং তোমাদের জন্যেও নেই কোনো অভিনন্দন। তোমরাই তো আগে আমাদের জন্যে এর ব্যবস্থা করেছো। এটা কতো যে নিকৃষ্ট আবাস।’
38-61 : তারা বলবে: ‘আমাদের প্রভু! যে আমাদেরকে এর (জাহান্নামের) সম্মুখীন করেছে, তাকে জাহান্নামে দ্বিগুণ শাস্তি বাড়িয়ে দাও।’
38-62 : তারা আরো বলবে: ‘‘কী হলো, (পৃথিবীতে) আমরা যাদের খারাপ লোক বলে গণ্য করতাম তাদেরকে যে (জাহান্নামে) দেখছি না!
38-63 : তাহলে কি আমরা তাদেরকে অন্যায়ভাবে বিদ্রুপ করেছি? নাকি তাদের ব্যাপারে আমাদের দৃষ্টি বিভ্রম ঘটেছে?’’
38-64 : এতো নিশ্চিত ব্যাপার, জাহান্নামীদের মধ্যে এই বাকবিতন্ডা হবে।
38-65 : হে নবী! বলো: আমি তো একজন সতর্ককারী মাত্র। প্রবল প্রতাপশালী আল্লাহ্ ছাড়া কোনো ইলাহ্ নেই।
38-66 : তিনিই মালিক মহাকাশ এবং পৃথিবীর এবং এ দুয়ের মধ্যবর্তী সবকিছুর। তিনি মহাশক্তিধর, ক্ষমাশীল।
38-67 : বলো: ‘‘এ এক মহাসংবাদ,
38-68 : যা থেকে তোমরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছো।
38-69 : ঊর্ধ্বলোকে তাদের বিতর্ক সম্পর্কে আমার কোনো এলেম ছিলনা।
38-70 : আমার কাছে তো এই অহি এসেছে যে, আমি একজন স্পষ্ট সতর্ককারী।’’
38-71 : স্মরণ করো, তোমার প্রভু ফেরেশতাদের বলেছিলেন, আমি কাদামাটি থেকে মানুষ সৃষ্টি করতে যাচ্ছি,
38-72 : আমি যখন তাকে নিখুঁত ও সুষম করবো এবং তার মধ্যে সঞ্চার করে দেবো রূহ, তখন তোমরা তার প্রতি সাজদায় অবনত হয়ো।
38-73 : অতএব, ফেরেশতারা সবাই সাজদায় অবনত হয়
38-74 : শুধুমাত্র ইবলিস ছাড়া। সে অহংকার করে এবং কাফিরদের অন্তরভুক্ত হয়ে পড়ে।
38-75 : আল্লাহ্ বললেন: ‘হে ইবলিস! আমি যাকে নিজ হাতে তৈরি করেছি, তাকে সাজদা করা থেকে কিসে তোকে বাধা দিয়েছে? তুই কি অহংকার করলি, না কি তুই উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন?’
38-76 : সে বললো: ‘আমি তার চাইতে শ্রেষ্ঠ, কারণ, আপনি আমাকে তৈরি করেছেন আগুন দিয়ে এবং তাকে তৈরি করেছেন কাদামাটি দিয়ে।’
38-77 : আল্লাহ্ বললেন: ‘‘বেরিয়ে যা তুই এখান থেকে, এখন থেকে তুই বিতাড়িত।
38-78 : আর তোর প্রতি আমার লা’নত (বর্ষিত হতে থাকবে) প্রতিদান দিবস পর্যন্ত।’’
38-79 : সে বললো: ‘প্রভু! আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন।’
38-80 : তিনি বললেন: ‘‘তোকে অবকাশ দেয়া হলো।
38-81 : নির্দিষ্ট সময় উপস্থিত হবার দিন পর্যন্ত।’’
38-82 : সে বললো: ‘‘আপনার ইযযতের শপথ, আমি তাদের সবাইকেই বিপথগামী করে দেবো,
38-83 : তবে তাদের মধ্যে আপনার বাছাই করা দাসেরা ছাড়া।’’
38-84 : তিনি বললেন: ‘‘এটাই সত্য আর আমি সত্য বলি:
38-85 : আমি তোকে আর তোর অনুসারীদের দিয়ে পরিপূর্ণ করবো জাহান্নাম।’’
38-86 : হে নবী! বলো: ‘আমি তো এ কাজের জন্যে তোমাদের কাছে কোনো পারিশ্রমিক চাইনা। আর যারা মিথ্যা দাবি করে আমি সে রকম লোকও নই।’
38-87 : এ (কুরআন) তো জগতবাসীর জন্যে একটি উপদেশ ছাড়া কিছু নয়।
38-88 : তোমরা অবশ্যি এর সংবাদ জানতে পারবে অল্পকাল পরেই।