Go Back
Book Id: 10030
আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, আবদুস শহীদ নাসিম
Chapter: 41, সূরা ৪১ হা মিম আস্ সাজদা/ফুসসিলাত
মক্কায় অবতীর্ণ, আয়াত সংখ্যা: ৫৪, রুকু সংখ্যা: ০৬এই সূরার আলোচ্যসূচি
|
41-1 : হা মিম! |
41-2 : রহমানুর রহিমের পক্ষ থেকে নাযিল হচ্ছে (এই কিতাব)। |
41-3 : এটি এমন একটি কিতাব, যার আয়াতসমূহ বিশদ বিবরণ সম্বলিত। এটি আরবি ভাষায় (অবতীর্ণ) কুরআন, যেসব লোক এলেম চর্চা করে তাদের জন্যে। |
41-4 : এটি সুসংবাদবাহী ও সতর্ককারী (কিতাব)। কিন্তু অধিকাংশ লোক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, ফলে তারা আর শুনবে না। |
41-5 : তারা বলে: ‘তুমি যেদিকে আমাদের ডাকছো, সে বিষয়ে আমাদের অন্তর আচ্ছাদিত, আমাদের কানে তুলা, আর আমাদের ও তোমার মাঝে রয়েছে একটি হিজাব (অন্তরাল)। সুতরাং তুমি তোমার কাজ করো, আমরা আমাদের কাজ করি।’ |
41-6 : তুমি বলো: ‘আমি তোমাদের মতোই একজন মানুষ। আমার প্রতি অহি করা হয়েছে যে, তোমাদের ইলাহ্ (আল্লাহ্ই) একমাত্র ইলাহ্। তোমরা মজবুতভাবে তাঁর পথ অবলম্বন করো এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো। আর সেইসব মুশরিকদের জন্যে রয়েছে দুঃখ - দুর্ভোগ, |
41-7 : যারা যাকাত প্রদান করে না এবং তারা আখিরাতের প্রতি অবিশ্বাসী। |
41-8 : আর যারা ঈমান আনে এবং আমলে সালেহ্ করে তাদের জন্যে রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার। |
41-9 : বলো: তোমরা কি সেই মহান সত্তার সাথে কুফুরি করবে, যিনি এই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে (দুটি কালে) এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ সাব্যস্ত করবে? তিনি তো রাব্বুল আলামিন (মহাজগতের প্রভু)। |
41-10 : আর তিনি ভূ - পৃষ্ঠে স্থাপন করেছেন অটল পাহাড় পর্বত। তাতে (ভূ - পৃষ্ঠে) রেখেছেন প্রভূত বরকত। চারটি কালে তাতে ব্যবস্থা করেছেন তার সামর্থ (উৎপাদিত জীবিকা) প্রার্থনাকারীদের জন্যে তাদের প্রয়োজনীয় সামগ্রী। |
41-11 : তারপর তিনি মনোনিবেশ করেন আকাশের দিকে। তখন তা ছিলো ধুম্রপুঞ্জ। তারপর তিনি আকাশ ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা অস্তিত্ব ধারণ করো ইচ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায়। তারা বললো: ‘আমরা নত শিরে অস্তিত্ব ধারণ করলাম।’ |
41-12 : তারপর তিনি দুটি কালে আকাশকে সপ্তাকাশে পরিণত করলেন এবং প্রত্যেক আকাশকে তার বিধান অহি করে দিলেন। দুনিয়ার (কাছের) আকাশকে সুশোভিত করলেন প্রদীপমালা দিয়ে এবং হিফাযতের উদ্দেশ্যে। এ হচ্ছে মহাপরাক্রমশালী সর্বজ্ঞানীর ব্যবস্থাপনা। |
41-13 : তারা যদি মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাদের বলো: ‘আমি তোমাদের সতর্ক করছি এক ধ্বংসকর শাস্তির, আদ ও সামুদ জাতির শাস্তির অনুরূপ শাস্তির।’ |
41-14 : তাদের আগে পিছে রসূলরা এসেছিল এবং তাদের বলেছিল: ‘তোমরা আল্লাহ্ ছাড়া আর কারো দাসত্ব করোনা।’ তখন তারা বলেছিল: ‘আমাদের প্রভু চাইলে তো ফেরেশতাই পাঠাতেন। সুতরাং তোমরা যা নিয়ে এসেছো, আমরা সেটার প্রতি কুফুরি করছি।’ |
41-15 : আদ জাতি অন্যায়ভাবে দেশে দম্ভ করেছিল। তারা বলেছিল: ‘আমাদের চেয়ে শক্তিমান আর কে আছে?’ তবে কি তারা ভেবে দেখেনি যে, আল্লাহ্ তাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তিনি তাদের চেয়ে অধিক শক্তিমান। আসলে তারা আমাদের আয়াতকেই অস্বীকার করতো। |
41-16 : ফলে আমরা তাদের প্রতি পাঠিয়েছিলাম প্রচন্ড ঝড়বায়ু এক অশুভ দিনে, তাদেরকে দুনিয়ার জীবনের লাঞ্ছনাকর আযাবের স্বাদ আস্বাদন করাতে। তাছাড়া আখিরাতের আযাব তো এর চাইতেও অপমানকর এবং তাদেরকে সাহায্য করা হবেনা। |
41-17 : আর সামুদ জাতির ঘটনা হলো, আমরা তাদের সঠিক পথ দেখিয়েছিলাম। কিন্তু তারা হিদায়াতের উপর অন্ধতাকে অগ্রাধিকার প্রদান করে। ফলে তাদেরকে আঘাত হানে লাঞ্ছনাকর আযাবের এক বজ্রধ্বনি তাদের কর্মকান্ডের ফলে। |
41-18 : আর আমরা রক্ষা করেছিলাম তাদেরকে, যারা ঈমান এনেছিল এবং অবলম্বন করেছিল তাকওয়া। |
41-19 : যেদিন আল্লাহর দুশমনদের জাহান্নামের দিকে হাশর (সমবেত) করা হবে, সেদিন তাদের বিন্যাস করা হবে বিভিন্ন দলে। |
41-20 : অত:পর যখন তারা জাহান্নামের কাছে পৌঁছাবে, তখন তাদের কান, চোখ এবং চামড়া তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে বলে দেবে, (পৃথিবীতে) তারা কী কী করেছিল? |
41-21 : তারা তাদের চামড়াকে বলবে: ‘তোমরা কেন আমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিলে?’ তারা বলবে: ‘আল্লাহ্ই আমাদের বাকশক্তি দিয়েছেন, যিনি সবকিছুকে বাকশক্তি দিয়েছেন। তিনিই তোমাদের প্রথমবার সৃষ্টি করেছেন এবং তাঁর কাছেই তোমাদের ফেরত নেয়া হবে।’ |
41-22 : তোমরা যা কিছু গোপন করেছো এ জন্যে করেছো যে, তোমরা মনে করতে তোমাদের কান, চোখ এবং চামড়া তোমাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবেনা। বরং তোমাদের ধারণা ছিলো, তোমরা যা করো তার অনেক কিছুই আল্লাহ্ জানেন না। |
41-23 : তোমাদের প্রভু সম্পর্কে তোমাদের এ ধারণাই তোমাদের ডুবিয়েছে, ফলে তোমরা হয়েছো চরম ক্ষতিগ্রস্ত। |
41-24 : এখন তারা ধৈর্য ধারণ করলেও তাদের আবাস হবে জাহান্নাম, আর তারা অনুগ্রহ চাইলেও তাদের প্রতি অনুগ্রহ করা হবেনা। |
41-25 : আমরা তাদের জন্যে নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম অনেক বন্ধু ও সাথি, যারা তাদের সামনের পেছনের সবকিছু তাদেরকে শোভনীয় করে দেখিয়েছিল। ফলে তাদের উপর (শাস্তির) বাণী সত্য সাব্যস্ত হয়, যেমনটি হয়েছিল তাদের আগেকার জিন ও মানুষদের জন্যে। শেষ পর্যন্ত তারা হয়েছে চরম ক্ষতিগ্রস্ত। |
41-26 : কাফিররা বলে: ‘তোমরা এ কুরআন শুনবেনা এবং যেখানেই তা পাঠ করা হবে, হৈ হট্টগোল সৃষ্টি করবে, যাতে করে তোমরা জয়ী হতে পারো।’ |
41-27 : আমরা কাফিরদের আস্বাদন করাবো কঠিন আযাবের স্বাদ এবং তাদের প্রতিফল দেবো তাদের নিকৃষ্ট কর্মকান্ডের। |
41-28 : জাহান্নামই আল্লাহর দুশমনদের উপযুক্ত প্রতিফল। সেখানে থাকবে তাদের চিরস্থায়ী আবাস। এ হলো আমাদের আয়াত অস্বীকার করার প্রতিদান। |
41-29 : কাফিররা (সেদিন) বলবে: ‘আমাদের প্রভু! জিন ও ইনসানের যারাই আমাদের পথভ্রষ্ট করেছিল, তাদেরকে দেখিয়ে দাও, আমরা তাদের পদদলিত করবো, যাতে করে তারা অপদস্থ হয়।’ |
41-30 : নিশ্চয়ই যারা বলে: ‘আল্লাহ্ আমাদের প্রভু’, অত:পর একথার উপর অটল - অবিচল থাকে, তাদের প্রতি ফেরেশতা নাযিল হয়ে বলে: ‘‘আপনারা ভয় পাবেন না, চিন্তিতও হবেননা। আপনারা খুশি হয়ে যান সেই জান্নাতের জন্যে যার ওয়াদা আপনাদের দেয়া হয়েছিল। |
41-31 : আমরা দুনিয়ার জীবনেও আপনাদের অলি (বন্ধু, পৃষ্ঠপোষক) এবং আখিরাতেও। সেখানে আপনাদের জন্যে মওজুদ রয়েছে যা আপনাদের মন চাইবে এবং আপনাদের জন্যে মওজুদ রয়েছে যা আপনারা আদেশ করবেন সবই। |
41-32 : এ হলো পরম ক্ষমাশীল দয়াবানের পক্ষ থেকে আতিথ্য।’’ |
41-33 : ঐ ব্যক্তির চাইতে সুন্দর কথা আর কে বলে, যে মানুষকে দাওয়াত দেয় আল্লাহর দিকে এবং আমলে সালেহ্ করে, আর বলে: ‘নিশ্চয়ই আমি একজন মুসলিম (আল্লাহর অনুগত)।’ |
41-34 : ভালো আর মন্দ সমান নয়। মন্দকে দূরীভূত করো সর্বোত্তম (আচরণ) দিয়ে। তাহলে তোমার জানের শত্রুও হয়ে যাবে প্রাণের বন্ধু। |
41-35 : এই মহৎ গুণের অধিকারী করা হয় কেবল তাদেরকেই যারা সবর অবলম্বন করে। এ গুণের অধিকারী হয় কেবল তারাই যারা অতীব ভাগ্যবান। |
41-36 : যদি শয়তান তোমাকে কোনো কুমন্ত্রণা দিচ্ছে বলে অনুভব করো, তবে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞানী। |
41-37 : তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে রাত, দিন এবং সূর্য ও চাঁদ। তোমরা সূর্যকে সাজদা করোনা, চাঁদকেও নয়। সাজদা করো আল্লাহকে, যিনি ওগুলোকে সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা সত্যি সত্যি তাঁর ইবাদত করো। |
41-38 : কিন্তু তারা দম্ভ করলেও যারা তোমার প্রভুর কাছে রয়েছে তারা কিন্তু তাঁর তসবিহ করে রাত - দিন এবং ক্লান্তিবোধ করেনা। (সাজদা) |
41-39 : তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে রয়েছে, তুমি জমিনকে দেখতে পাও শুকনো ধূসর। কিন্তু যখনই আমরা তাতে পানি বর্ষণ করি, তখন তা আন্দোলিত ও স্ফীত হয়ে উঠে। যিনি এই মরা জমিনকে জীবিত করেন, তিনি অবশ্যি মৃতদের পুনর্জীবিত করবেন। তিনি প্রতিটি বিষয়ে সর্বশক্তিমান। |
41-40 : যারা বিকৃত করে আমাদের আয়াতকে, তারা আমাদের থেকে গোপন নয়। কিয়ামতের দিন যাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে সে ভালো, নাকি যে নিরাপদে থাকবে, সে ভালো? তোমাদের যা ইচ্ছা করতে থাকো। নিশ্চয়ই তিনি দেখেন তোমরা যা আমল করো। |
41-41 : যারা যিকির (কুরআন) আসার পর তার প্রতি কুফুরি করেছে, (তাদের জন্যে রয়েছে কঠিন আযাব), তাদের জেনে রাখা উচিত, এ এক মহাশক্তিধর কিতাব। |
41-42 : এ কিতাবে সামনে বা পেছনে থেকে কোনো বাতিল প্রবেশ করতে পারেনা। এটি নাযিল হয়েছে মহাজ্ঞানী সপ্রশংসিতের পক্ষ থেকে। |
41-43 : (হে নবী! কাফিরদের পক্ষ থেকে) তোমাকে এমন কিছুই বলা হয়নি, যা তোমার পূর্বেকার রসূলদের বলা হয়নি। নিশ্চয়ই তোমার প্রভু বড়ই ক্ষমাওয়ালা, আবার কঠিন শাস্তিদাতাও। |
41-44 : আমরা যদি এটিকে অনারবি ভাষার কুরআন করতাম, তারা অবশ্যি বলতো: ‘এর আয়াতগুলো (আমাদের ভাষায়) কেন ব্যাখা করে দেয়া হয়নি। এটা কেমন ব্যাপার, কিতাব হলো অনারবি আর রসূল হলো আরব?’ হে নবী! বলো: ‘এ কুরআন মুমিনদের জন্যে জীবন পদ্ধতির দিশারি এবং নিরাময়। আর যারা ঈমান আনেনা, তাদের কানে তুলা এবং এ কুরআন তাদের জন্যে একটা অন্ধত্ব। এরা এমন, যেনো তাদের ডাকা হচ্ছে বহুদূর থেকে।’ |
41-45 : আমরা মূসাকেও কিতাব দিয়েছিলাম, অত:পর তা নিয়েও মতভেদ করা হয়েছিল। যদি তোমার প্রভুর পক্ষ থেকে পূর্ব সিদ্ধান্ত না থাকতো, তাহলে তাদের মাঝে ফায়সালা হয়ে যেতো। আসলে তারা এ বিষয়ে রয়েছে বিভ্রান্তিকর সন্দেহের মধ্যে। |
41-46 : যে ভালো কাজ করে, সে তা করে নিজের কল্যাণেই, আর যে মন্দ কাজ করে তার প্রতিফল সে নিজেই ভোগ করবে। তোমার প্রভু তাঁর দাসদের প্রতি বিন্দুমাত্র যালিম নন। |
41-47 : কিয়ামতের জ্ঞান আল্লাহ্ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ। তাঁর এলেম ছাড়া কোনো ফল আবরণ থেকে বের হয়না, কোনো নারী গর্ভ ধারণ করেনা এবং সন্তানও প্রসব করেনা। যেদিন তাদের ডেকে বলা হবে: ‘কোথায় তোমাদের বানানো শরিকরা?’ তারা বলবে, আপনার অনুমতি প্রার্থনা করে বলছি: ‘এ ব্যাপারে আমাদের কেউই কিছু সচোক্ষে দেখিনি।’ |
41-48 : দুনিয়ার জীবনে তারা যাদের ডাকতো, সেদিন তারা সবাই তাদের থেকে উধাও হয়ে যাবে, তখন তারা উপলব্ধি করবে, তাদের রক্ষা পাওয়ার কোনো পথ নেই। |
41-49 : মানুষ অর্থ সম্পদ প্রার্থনার ক্ষেত্রে কোনো ক্লান্তিবোধ করেনা। কিন্তু যখন তাকে দুঃখ - দুর্দশা স্পর্শ করে, তখন সে নিরাশ ও হতাশ হয়ে পড়ে। |
41-50 : আমরা যখন দুঃখ - দুর্দশা স্পর্শ করার পর তাকে আমাদের রহমত আস্বাদন করাই, তখন সে বলে: ‘এটা তো আমার প্রাপ্য এবং আমি মনে করিনা যে, কিয়ামত সংঘটিত হবে। আর আমি যদি আমার প্রভুর কাছে ফিরেও যাই, তার কাছে তো আমার জন্যে কল্যাণই থাকবে।’ আমরা কাফিরদের অবশ্যি তাদের কৃতকর্ম সম্পর্কে অবহিত করবো এবং তাদের আস্বাদন করাবো শক্ত আযাব। |
41-51 : আমরা যখন মানুষের প্রতি অনুগ্রহ করি, তখন সে মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং দূরে সরে যায়, আবার যখন তাকে স্পর্শ করে দুঃখ - দুর্দশা, তখন সে নিরত হয় দীর্ঘ প্রার্থনায়। |
41-52 : বলো: ‘তোমরা ভেবে দেখেছো কি, যদি এ কুরআন আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হয়ে থাকে আর তোমরা তা অস্বীকার করো, তবে যে ব্যক্তি বিরোধিতায় বহুদূর এগিয়ে গেছে তার চাইতে বড় বিপথগামী আর কেউ আছে কি?’ |
41-53 : আমরা অচিরেই তাদের দেখাবো আমাদের নিদর্শনাবলি মহাবিশ্বে এবং তাদের নিজেদের মধ্যে, তখন তাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যাবে যে, এ কুরআন এক মহাসত্য। তোমার প্রভুর ব্যাপারে কি একথা যথেষ্ট নয় যে, তিনি প্রতিটি বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী? |
41-54 : সাবধান, তারা তাদের প্রভুর সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে সন্দেহে নিমজ্জিত। জেনে রাখো, আল্লাহ্ প্রতিটি বস্তু পরিবেষ্টন করে আছেন। |