25-1 : কত মহান তিনি যিনি তাঁহার বান্দার প্রতি ফুরকান অবতীর্ণ করিয়াছেন যাহাতে সে বিশ্বজগতের জন্য সতর্ককারী হইতে পারে! |
25-2 : যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সার্বভৌমত্বের অধিকারী ; তিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেন নাই ; সার্বভৌমত্বে তাঁহার কোন শরীক নাই। তিনি সমস্ত কিছু সৃষ্টি করিয়াছেন এবং প্রত্যেককে পরিমিত করিয়াছেন যথাযথ অনুপাতে। |
25-3 : আর তাহারা তাঁহার পরিবর্তে ইলাহ্রূপে গ্রহণ করিয়াছে অন্যদেরকে, যাহারা কিছুই সৃষ্টি করে না, বরং উহারা নিজেরাই সৃষ্ট এবং উহারা নিজেদের অপকার অথবা উপকার করিবার ক্ষমতা রাখে না এবং মৃত্যু, জীবন ও উত্থানের উপরও কোন ক্ষমতা রাখে না। |
25-4 : কাফিররা বলে, ‘ইহা মিথ্যা ব্যতীত কিছুই নয়, সে ইহা উদ্ভাবন করিয়াছে এবং ভিন্ন সম্প্রদায়ের লোক তাহাকে এই ব্যাপারে সাহায্য করিয়াছে।’ এইরূপে উহারা অবশ্যই জুলুম ও মিথ্যায় উপনীত হইয়াছে। |
25-5 : উহারা বলে, ‘এইগুলি তো সেকালের উপকথা, যাহা সে লিখাইয়া লইয়াছে; এইগুলি সকাল - সন্ধ্যা তাহার নিকট পাঠ করা হয়।’ |
25-6 : বল, ‘ইহা তিনিই অবতীর্ণ করিয়াছেন যিনি আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর সমুদয় রহস্য অবগত আছেন ; নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ |
25-7 : উহারা বলে, ‘এ কেমন রাসূল’ যে আহার করে এবং হাটে - বাজারে চলাফেরা করে ; তাহার নিকট কোন ফিরিশ্তা কেন অবতীর্ণ করা হইল না, যে তাহার সঙ্গে থাকিত সতর্ককারীরূপে?’ |
25-8 : অথবা তাহাকে ধনভাণ্ডার দেওয়া হয় না কেন অথবা তাহার একটি বাগান নাই কেন, যাহা হইতে সে আহার সংগ্রহ করিতে পারে?’ সীমালংঘনকারীরা আরও বলে, ‘তোমরা তো এক জাদুগ্রস্ত ব্যক্তিরই অনুসরণ করিতেছ।’ |
25-9 : দেখ, উহারা তোমার কী উপমা দেয়! উহারা পথভ্রষ্ট হইয়াছে, ফলে উহারা পথ পাইবে না। |
25-10 : কত মহান তিনি যিনি ইচ্ছা করিলে তোমাকে দিতে পারেন ইহা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট বস্তু - উদ্যানসমূহ যাহার নিম্নদেশে নদী - নালা প্রবাহিত এবং তিনি দিতে পারেন তোমাকে প্রাসাদসমূহ! |
25-11 : কিন্তু উহারা কিয়ামতকে অস্বীকার করিয়াছে এবং যে কিয়ামতকে অস্বীকার করে তাহার জন্য আমি প্রস্তুত রাখিয়াছি জ্বলন্ত অগ্নি। |
25-12 : দূর হইতে অগ্নি যখন উহাদেরকে দেখিবে তখন উহারা শুনিতে পাইবে ইহার ক্রুদ্ধ গর্জন ও চীৎকার; |
25-13 : এবং যখন উহাদেরকে শৃংখলিত অবস্থায় উহার কোন সংকীর্ণ স্থানে নিক্ষেপ করা হইবে তখন উহারা সেখানে ধ্বংস কামনা করিবে। |
25-14 : উহাদেরকে বলা হইবে, ‘আজ তোমরা একবারের জন্য ধ্বংস কামনা করিও না, বহুবার ধ্বংস হইবার কামনা করিতে থাক।’ |
25-15 : উহাদেরকে জিজ্ঞাসা কর, ‘ইহাই শ্রেয়, না স্থায়ী জান্নাত, যাহার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হইয়াছে মুত্তাকীদেরকে?’ ইহাই তো তাহাদের পুরস্কার ও প্রত্যাবর্তনস্থল। |
25-16 : সেখানে তাহারা যাহা চাহিবে তাহাদের জন্য তাহাই থাকিবে এবং তাহারা স্থায়ী হইবে; এই প্রতিশ্রুতি পূরণ তোমার প্রতিপালকেরই দায়িত্ব। |
25-17 : এবং যেদিন তিনি একত্র করিবেন উহাদেরকে এবং উহারা আল্লাহ্র পরিবর্তে যাহাদের ‘ইবাদত করিত তাহাদেরকে, সেদিন তিনি জিজ্ঞাসা করিবেন, ‘তোমরাই কি আমার এই বান্দাদেরকে বিভ্রান্ত করিয়াছিলে, না উহারা নিজেরাই পথভ্রষ্ট হইয়াছিল?’ |
25-18 : উহারা বলিবে, ‘পবিত্র ও মহান তুমি! তোমার পরিবর্তে আমরা অন্যকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করিতে পারি না; তুমিই তো ইহাদেরকে এবং ইহাদের পিতৃপুরুষদেরকে ভোগসম্ভার দিয়াছিলে; পরিণামে উহারা উপদেশ বিস্মৃত হইয়াছিল এবং পরিণত হইয়াছিল এক ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতিতে। |
25-19 : আল্লাহ্ মুশরিকদেরকে বলিবেন, ‘তোমরা যাহা বলিতে উহারা তাহা মিথ্যা সাব্যস্ত করিয়াছে। সুতরাং তোমরা শাস্তি প্রতিরোধ করিতে পারিবে না এবং সাহায্যও পাইবে না। তোমাদের মধ্যে যে সীমালংঘন করিবে আমি তাহাকে মহাশাস্তি আস্বাদ করাইব।’ |
25-20 : তোমার পূর্বে আমি যে সকল রাসূল প্রেরণ করিয়াছি তাহারা সকলেই তো আহার করিত ও হাটেবাজারে চলাফেরা করিত। হে মানুষ ! আমি তোমাদের মধ্যে এক - কে অপরের জন্য পরীক্ষাস্বরূপ করিয়াছি। তোমরা ধৈর্য ধারণ করিবে কি? তোমার প্রতিপালক সমস্ত কিছু দেখেন। |
25-21 : যাহারা আমার সাক্ষাৎ কামনা করে না তাহারা বলে, ‘আমাদের নিকট ফিরিশতা অবতীর্ণ করা হয় না কেন? অথবা আমরা আমাদের প্রতিপালককে প্রত্যক্ষ করি না কেন? উহারা তো উহাদের অন্তরে অহংকার পোষণ করে এবং উহারা সীমালংঘন করিয়াছে গুরুতররূপে। |
25-22 : যেদিন উহারা ফিরিশ্তাদেরকে প্রত্যক্ষ করিবে সেদিন অপরাধীদের জন্য সুসংবাদ থাকিবে না এবং উহারা বলিবে, ‘রক্ষা কর, রক্ষা কর।’ |
25-23 : আমি উহাদের কৃতকর্মের প্রতি লক্ষ্য করিব, অতঃপর সেগুলিকে বিক্ষিপ্ত ধূলিকণায় পরিণত করিব। |
25-24 : সেই দিন হইবে জান্নাতবাসীদের বাসস্থান উৎকৃষ্ট এবং বিশ্রামস্থল মনোরম। |
25-25 : আর সেই দিন আকাশ মেঘপুঞ্জসহ বিদীর্ণ হইবে এবং ফিরিশতাদেরকে নামাইয়া দেওয়া হইবে - |
25-26 : সেই দিন কর্তৃত্ব হইবে বস্তুত দয়াময়ের এবং কাফিরদের জন্য সেই দিন হইবে কঠিন। |
25-27 : জালিম ব্যক্তি সেই দিন নিজ হস্তদ্বয় দংশন করিতে করিতে বলিবে, ‘হায়, আমি যদি রাসূলের সঙ্গে সৎপথ অবলম্বন করিতাম! |
25-28 : ‘হায়, দুর্ভোগ আমার, আমি যদি অমুককে বন্ধুরূপে গ্রহণ না করিতাম! |
25-29 : ‘আমাকে তো সে বিভ্রান্ত করিয়াছিল আমার নিকট উপদেশ পৌঁছিবার পর।’ শয়তান তো মানুষের জন্য মহাপ্রতারক। |
25-30 : রাসূল বলিল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার সম্প্রদায় তো এই কুরআনকে পরিত্যাজ্য মনে করে।’ |
25-31 : আল্লাহ্ বলেন, এইভাবেই প্রত্যেক নবীর শত্রু করিয়াছিলাম আমি অপরাধীদেরকে। তোমার জন্য তোমার প্রতিপালকই পথপ্রদর্শক ও সাহায্যকারীরূপে যথেষ্ট।’ |
25-32 : কাফিররা বলে, ‘সমগ্র কুরআন তাহার নিকট একবার অবতীর্ণ হইল না কেন? এইভাবেই আমি অবতীর্ণ করিয়াছি তোমার হৃদয়কে উহা দ্বারা মযবুত করিবার জন্য এবং তাহা ক্রমে ক্রমে স্পষ্টভাবে আবৃত্তি করিয়াছি। |
25-33 : উহারা তোমার নিকট এমন কোন সমস্যা উপস্থিত করে না, যাহার সঠিক সমাধান ও সুন্দর ব্যাখ্যা আমি তোমাকে দান করি না। |
25-34 : যাহাদেরকে মুখে ভর দিয়া চলা অবস্থায় জাহান্নামের দিকে একত্র করা হইবে, উহারা স্থানের দিক দিয়া অতি নিকৃষ্ট এবং অধিক পথভ্রষ্ট। |
25-35 : আমি তো মূসাকে কিতাব দিয়াছিলাম এবং তাহার সঙ্গে তাহার ভ্রাতা হারূনকে সাহায্যকারী করিয়াছিলাম, |
25-36 : এবং বলিয়াছিলাম, ‘তোমরা সেই সম্প্রদায়ের নিকট যাও যাহারা আমার নিদর্শনাবলীকে অস্বীকার করিয়াছে।’ অতঃপর আমি উহাদেরকে সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত করিয়াছিলাম। |
25-37 : এবং নূহের সম্প্রদায়কেও, যখন তাহারা রাসূলগণের প্রতি মিথ্যা আরোপ করিল তখন আমি উহাদেরকে নিমজ্জিত করিলাম এবং উহাদেরকে মানবজাতির জন্য নিদর্শনস্বরূপ করিয়া রাখিলাম। জালিমদের জন্য আমি মর্মন্তুদ শাস্তি প্রস্তুত করিয়া রাখিয়াছি। |
25-38 : আমি ধ্বংস করিয়াছিলাম ‘আদ, সামূদ ও ‘রাস্’ - এর অধিবাসীকে এবং উহাদের অন্তর্বর্তীকালের বহু সম্প্রদায়কেও। |
25-39 : আমি উহাদের প্রত্যেকের জন্য দৃষ্টান্ত বর্ণনা করিয়াছিলাম, আর উহাদের সকলকেই আমি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করিয়াছিলাম। |
25-40 : উহারা তো সেই জনপদ দিয়াই যাতায়াত করে যাহার উপর বর্ষিত হইয়াছিল অকল্যাণের বৃষ্টি, তবে কি উহারা ইহা প্রত্যক্ষ করে না? বস্তুত উহারা পুনরুত্থানের আশংকা করে না। |
25-41 : উহারা যখন তোমাকে দেখে তখন উহারা তোমাকে কেবল ঠাট্টা - বিদ্রপের পাত্ররূপে গণ্য করে, এবং বলে, ‘এই - ই কি সে, যাহাকে আল্লাহ্ রাসূল করিয়া পাঠাইয়াছে? |
25-42 : ‘সে তো আমাদেরকে আমাদের দেবতাগণ হইতে দূরে সরাইয়াই দিত, যদি না আমরা তাহাদের আনুগত্যে দৃঢ় প্রতিষ্ঠিত থাকিতাম। যখন উহারা শাস্তি প্রত্যক্ষ করিবে তখন উহারা জানিবে কে অধিক পথভ্রষ্ট। |
25-43 : তুমি কি দেখ না তাহাকে, যে তাহার কামনা - বাসনাকে ইলাহ্রূপে গ্রহণ করে? তবুও কি তুমি তাহার কর্মবিধায়ক হইবে? |
25-44 : তুমি কি মনে কর যে, উহাদের অধিকাংশ শুনে ও বুঝে? উহারা তো পশুর মতই ; বরং উহারা অধিক পথভ্রষ্ট ! |
25-45 : তুমি কি তোমার প্রতিপালকের প্রতি লক্ষ্য কর না কিভাবে তিনি ছায়া সম্প্রসারিত করেন? তিনি ইচ্ছা করিলে ইহাকে তো স্থির রাখিতে পারিতেন ; অনন্তর আমি সূর্যকে করিয়াছি ইহার নির্দেশক। |
25-46 : অতঃপর আমি ইহাকে আমার দিকে ধীরে ধীরে গুটাইয়া আনি। |
25-47 : এবং তিনিই তোমাদের জন্য রাত্রিকে করিয়াছেন আবরণস্বরূপ, বিশ্রামের জন্য তোমাদের দিয়াছেন নিদ্রা এবং সমুত্থানের জন্য দিয়াছেন দিবস। |
25-48 : তিনিই স্বীয় অনুগ্রহের প্রাক্কালে সুসংবাদবাহীরূপে বায়ু প্রেরণ করেন এবং আমি আকাশ হইতে বিশুদ্ধ পানি বর্ষণ করি - |
25-49 : যদ্দ্বারা আমি মৃত ভূখণ্ডকে সঞ্জীবিত করি এবং আমার সৃষ্টির মধ্যে বহু জীবজন্তু ও মানুষকে উহা পান করাই, |
25-50 : এবং আমি তো এই পানি উহাদের মধ্যে বিতরণ করি যাহাতে উহারা স্মরণ করে। কিন্তু অধিকাংশ লোক কেবল অকৃতজ্ঞতাই প্রকাশ করে। |
25-51 : আমি ইচ্ছা করিলে প্রতিটি জনপদে একজন সতর্ককারী প্রেরণ করিতে পারিতাম। |
25-52 : সুতরাং তুমি কাফিরদের আনুগত্য করিও না এবং তুমি কুরআনের সাহায্যে উহাদের সঙ্গে প্রবল সংগ্রাম চালাইয়া যাও। |
25-53 : তিনিই দুই দরিয়াকে মিলিতভাবে প্রবাহিত করিয়াছেন, একটি মিষ্ট, সুপেয় এবং অপরটি লোনা, খর ; উভয়ের মধ্যে রাখিয়া দিয়াছেন এক অন্তরায়, এক অনতিক্রম্য ব্যবধান। |
25-54 : এবং তিনিই মানুষকে সৃষ্টি করিয়াছেন পানি হইতে ; অতঃপর তিনি তাহার বংশগত ও বৈবাহিক সম্বন্ধ স্থাপন করিয়াছেন। তোমার প্রতিপালক সর্বশক্তিমান। |
25-55 : ইহারা আল্লাহ্র পরিবর্তে এমন কিছুর ‘ইবাদত করে যাহা উহাদেরকে উপকার করিতে পারে না এবং উহাদের অপকারও করিতে পারে না, কাফির তো স্বীয় প্রতিপালকের বিরোধী। |
25-56 : আমি তো তোমাকে কেবল সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপেই প্রেরণ করিয়াছি। |
25-57 : বল, ‘আমি তোমাদের নিকট ইহার জন্য কোন প্রতিদান চাহি না, তবে যে ইচ্ছা করে সে তাহার প্রতিপালকের দিকের পথ অবলম্বন করুক।’ |
25-58 : তুমি নির্ভর কর তাঁহার উপর যিনি চিরঞ্জীব, যিনি মরিবেন না এবং তাঁহার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর, তিনি তাঁহার বান্দাদের পাপ সম্পর্কে সম্যক অবহিত। |
25-59 : তিনি আকাশমণ্ডলী, পৃথিবী ও উহাদের মধ্যবর্তী সমস্ত কিছু ছয় দিবসে সৃষ্টি করেন ; অতঃপর তিনি আর্শে সমাসীন হন। তিনিই ‘রাহমান’, তাঁহার সম্বন্ধে যে অবগত আছে, তাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়া দেখ। |
25-60 : যখন ইহাদেরকে বলা হয়, ‘সিজ্দাবনত হও ‘রাহ্মান’ এর প্রতি’, তখন উহারা বলে, ‘রাহমান আবার কে? তুমি কাহাকেও সিজ্দা করিতে বলিলেই কি আমরা তাহাকে সিজ্দা করিব?’ ইহাতে উহাদের বিমুখতাই বৃদ্ধি পায়। |
25-61 : কত মহান তিনি যিনি নভোমণ্ডলে সৃষ্টি করিয়াছেন রাশিচক্র এবং উহাতে স্থাপন করিয়াছেন প্রদীপ ও জ্যোতির্ময় চন্দ্র। |
25-62 : তিনিই সৃষ্টি করিয়াছেন রাত্রি এবং দিবসকে পরস্পরের অনুগামীরূপে তাহার জন্য - যে উপদেশ গ্রহণ করিতে ও কৃতজ্ঞ হইতে চাহে। |
25-63 : ‘রাহ্মান’ - এর বান্দা তাহারাই, যাহারা পৃথিবীতে নম্রভাবে চলাফেরা করে এবং তাহাদেরকে যখন অজ্ঞ ব্যক্তিরা সম্বোধন করে, তখন তাহারা বলে, ‘সালাম’; |
25-64 : এবং তাহারা রাত্রি অতিবাহিত করে তাহাদের প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সিজ্দাবনত হইয়া ও দণ্ডায়মান থাকিয়া; |
25-65 : এবং তাহারা বলে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের হইতে জাহান্নামের শাস্তি বিদূরিত কর, উহার শাস্তি তো নিশ্চিত বিনাশ,’ |
25-66 : নিশ্চয়ই উহা অস্থায়ী ও স্থায়ী আবাস হিসাবে নিকৃষ্ট। |
25-67 : এবং যখন তাহারা ব্যয় করে তখন অপব্যয় করে না, কার্পণ্যও করে না, বরং তাহারা আছে এতদুভয়ের মাঝে মধ্যম পন্থায়। |
25-68 : এবং তাহারা আল্লাহ্র সঙ্গে কোন ইলাহ্কে ডাকে না। আল্লাহ্ যাহার হত্যা নিষেধ করিয়াছেন, যথার্থ কারণ ব্যতিরেকে তাহাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যে এইগুলি করে সে শাস্তি ভোগ করিবে। |
25-69 : কিয়ামতের দিন উহার শাস্তি দ্বিগুণ করা হইবে এবং সেখানে সে স্থায়ী হইবে হীন অবস্থায় ; |
25-70 : তাহারা নয়, যাহারা তওবা করে, ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে। আল্লাহ্ উহাদের পাপ পরিবর্তন করিয়া দিবেন পূণ্যের দ্বারা। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। |
25-71 : যে ব্যক্তি তওবা করে ও সৎকর্ম করে সে সম্পূর্ণরূপে আল্লাহ্র অভিমুখী হয়। |
25-72 : এবং যাহারা মিথ্যা সাক্ষ্য দেয় না এবং অসার ক্রিয়াকলাপের সম্মুখীন হইলে স্বীয় মর্যাদার সঙ্গে উহা পরিহার করিয়া চলে। |
25-73 : এবং যাহারা তাহাদের প্রতিপালকের আয়াত স্মরণ করাইয়া দিলে উহার প্রতি অন্ধ এবং বধিরসদৃশ আচরণ করে না, |
25-74 : এবং যাহারা প্রার্থনা করে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক ! আমাদের জন্য এমন স্ত্রী ও সন্তান - সন্ততি দান কর যাহারা হইবে আমাদের জন্য নয়নপ্রীতিকর এবং আমাদেরকে কর মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য। |
25-75 : তাহাদেরকে প্রতিদান দেওয়া হইবে জান্নাতের সুউচ্চ কক্ষ যেহেতু তাহারা ছিল ধৈর্যশীল, তাহাদেরকে সেখানে অভ্যর্থনা করা হইবে অভিবাদন ও সালাম সহকারে। |
25-76 : সেখানে তাহারা স্থায়ী হইবে। আশ্রয়স্থল ও বসতি হিসাবে উহা কত উৎকৃষ্ট। |
25-77 : বল, ‘তোমরা আমার প্রতিপালককে না ডাকিলে তাঁহার কিছুই আসে যায় না। তোমরা অস্বীকার করিয়াছ, ফলে অচিরে নামিয়া আসিবে অপরিহার্য শাস্তি। |