আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, জহুরুল হক, Chapter: 69, আল হাক্বক্বাহ

Go Back
Book Id: 10060

আল কুরআন: বাংলা অনুবাদ, জহুরুল হক

Chapter: 69, আল হাক্বক্বাহ

69-1 : নিশ্চিত - সত্য!
69-2 : কি সেই নিশ্চিত - সত্য?
69-3 : আহা, কি দিয়ে তোমাকে বোঝানো যাবে নিশ্চিত - সত্যটা কি?
69-4 : ছামূদ ও 'আদগোষ্ঠী আঘাতকারী প্রলয়কে অস্বীকার করেছিল।
69-5 : তারপর ছামূদগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে - - তাদের তখন ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রলয়ংকর বিপর্যয়ে।
69-6 : আর 'আদগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে - - তাদের তখন ধ্বংস করা হয়েছিল এক গর্জনকারী প্রচন্ড ঝড়ের দ্বারা - -
69-7 : যাকে তিনি তাদের উপরে প্রবাহিত করেছিলেন সাত রাত ও আট দিনব্যাপী, অবিরতভাবে, ফলে তুমি সেই লোকদলকে দেখতে পেতে সেখানে লুটিয়ে পড়ে আছে, যেন তারা খেজুর গাছের ফাঁপা গুড়ি।
69-8 : তারপর তুমি তাদের অবশিষ্ট কিছু দেখতে পাও কি?
69-9 : আর ফিরআউন আর যারা তার পূর্ববর্তী ছিল, আর বিধবস্ত শহরগুলো পাপাচার নিয়ে এসেছিল,
69-10 : যেহেতু তাদের প্রভুর রসূলকে তারা অমান্য করেছিল, সেজন্য তিনি তাদের পাকড়াও করেছিলেন এক সুকঠিন পাকড়ানোতে।
69-11 : নিঃসন্দেহ যখন পানি ফেঁপে উঠেছিল, তখন আমরা তোমাদের বহন করেলিাম জাহাজের মধ্যে,
69-12 : যেন আমরা এটিকে তোমাদের জন্য বানাতে পারি স্মরণীয় বিষয়, এবং শ্রুতিধর কান যেন এটি মনে রাখতে পারে।
69-13 : সুতরাং যখন শিঙায় ফুৎকার দেওয়া হবে - - একটি মাত্র ফুৎকার, - -
69-14 : এবং পৃথিবী ও পাহাড় - পর্বত উত্তোলন করা হবে, আর একটিমাত্র ধাক্কায় তাদের চূর্ণবিচূর্ণ করা হবে।
69-15 : অতএব সেইদিন মহাঘটনা সংঘটিত হবে,
69-16 : আর আকাশ বিদীর্ণ হবে, ফলে সেইদিন তা হবে ভঙ্গুর;
69-17 : আর ফিরিশ্‌তারা এর প্রান্তগুলোয় রইবে। আর তাদের উপরে সেইদিন তোমার প্রভুর আরশ বহন করবে আটজন।
69-18 : সেইদিন তোমাদের অনাবৃত করা হবে, - - কোনো গোপন বিষয় তোমাদের থেকে গোপন থাকবে না।
69-19 : তারপর যাকে তার বই তার ডান হাতে দেয়া হবে সে তখন বলবে - - ''নাও, আমার এই বই পড়ে দেখো!
69-20 : ''আমি নিশ্চয়ই জানতাম যে আমি আলবৎ আমার এই হিসাবের সম্মুখীন হতে যাচ্ছি।’’
69-21 : সুতরাং সে থাকবে এক পূর্ণ - সন্তোষজনক জীবনযাপনে - -
69-22 : এক উঁচু পর্যায়ের জান্নাতে,
69-23 : যার ফলের থোকাগুলো নাগালের মধ্যে।
69-24 : ''খাও আর পান করো তৃপ্তির সঙ্গে সেইজন্য যা তোমরা আগেকার দিনগুলোয় সম্পাদন করেছিলে।’’
69-25 : আর তার ক্ষেত্রে যাকে তার বই তার বাম হাতে দেওয়া হবে সে তখন বলবে - - ''হায় আমার আফসোস! আমার এই বই যদি আমায় কখনো দেখানো না হতো, - -
69-26 : ''আর আমি যদি কখনো জানতাম না আমার এই হিসাবটি কী।
69-27 : ''হায় আফসোস! এইটাই যদি আমার শেষ হতো!
69-28 : ''আমার ধনসম্পদ আমার কোনো কাজে এল না;
69-29 : ''আমার কর্তৃত্ব আমার থেকে বিনাশ হয়ে গেছে।’’
69-30 : ''তাকে ধরো এবং তাকে বাঁধো,
69-31 : ''তারপর জ্বলন্ত আগুনে তাকে নিক্ষেপ করো,
69-32 : ''তারপর তাকে এক শিকলে আবদ্ধ করো যার দৈঘ্য হচ্ছে সত্তর হাত।
69-33 : ''নিশ্চয় সে বিশ্বাস করত না মহান আল্লাহ্‌তে,
69-34 : ''আর সে উৎসাহ দেখাত না গরীবদের খাবার দিতে,
69-35 : ''সেজন্য আজ তার জন্যে এখানে কোনো অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকবে না,
69-36 : ''আর কোনো খাদ্য থাকবে না ক্ষতনিঃসৃত পুজঁ ব্যতীত - -
69-37 : ''যা পাপীরা ব্যতীত আর কেউ খায় না।’’
69-38 : কিন্ত না, আমি কসম খাচ্ছি যা তোমরা দেখছ তার,
69-39 : এবং যা তোমরা দেখছ না তারও, - -
69-40 : যে এটি এক সম্মানিত রসূলের বাণী,
69-41 : আর এ কোনো কবির আলাপন নয়; সামান্যই তো যা তোমরা বিশ্বাস কর।
69-42 : আর কোনো গনৎকারের বাক্‌চাতুরীও নয়, যৎসামান্য যা তোমরা চিন্তা কর!
69-43 : এ হচ্ছে এক অবতারণ বিশ্বজগতের প্রভুর কাছ থেকে।
69-44 : আর তিনি যদি আমাদের নামে কোনো বাণী রচনা করতে চাইতেন, - -
69-45 : তাহলে আমরা নিশ্চয়ই তাকে ডানহাতে পাকড়াও করতাম,
69-46 : তারপর নিশ্চয়ই তার কন্ঠশিরা কেটে ফেলতাম,
69-47 : তখন তোমাদের মধ্যের কেউই ওর থেকে নিবৃত্ত করতে পারতে না।
69-48 : আর নিশ্চয়ই এইটি ধর্মভীরুদের জন্য এক স্মারক - গ্রন্থ।
69-49 : আর নিশ্চয়ই আমরা তো জানি যে তোমাদের মধ্যে সত্যপ্রত্যাখ্যানকারী রয়েছে।
69-50 : আর নিঃসন্দেহ এটি অবিশ্বাসীদের জন্য বড় অনুতাপের বিষয়।
69-51 : আর নিঃসন্দেহ এটি তো সুনিশ্চিত সত্য।
69-52 : অতএব তোমার মহামহিমান্নিত প্রভুর নামের জপতপ করো।