69-1 : নিশ্চিত - সত্য! |
69-2 : কি সেই নিশ্চিত - সত্য? |
69-3 : আহা, কি দিয়ে তোমাকে বোঝানো যাবে নিশ্চিত - সত্যটা কি? |
69-4 : ছামূদ ও 'আদগোষ্ঠী আঘাতকারী প্রলয়কে অস্বীকার করেছিল। |
69-5 : তারপর ছামূদগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে - - তাদের তখন ধ্বংস করা হয়েছিল এক প্রলয়ংকর বিপর্যয়ে। |
69-6 : আর 'আদগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে - - তাদের তখন ধ্বংস করা হয়েছিল এক গর্জনকারী প্রচন্ড ঝড়ের দ্বারা - - |
69-7 : যাকে তিনি তাদের উপরে প্রবাহিত করেছিলেন সাত রাত ও আট দিনব্যাপী, অবিরতভাবে, ফলে তুমি সেই লোকদলকে দেখতে পেতে সেখানে লুটিয়ে পড়ে আছে, যেন তারা খেজুর গাছের ফাঁপা গুড়ি। |
69-8 : তারপর তুমি তাদের অবশিষ্ট কিছু দেখতে পাও কি? |
69-9 : আর ফিরআউন আর যারা তার পূর্ববর্তী ছিল, আর বিধবস্ত শহরগুলো পাপাচার নিয়ে এসেছিল, |
69-10 : যেহেতু তাদের প্রভুর রসূলকে তারা অমান্য করেছিল, সেজন্য তিনি তাদের পাকড়াও করেছিলেন এক সুকঠিন পাকড়ানোতে। |
69-11 : নিঃসন্দেহ যখন পানি ফেঁপে উঠেছিল, তখন আমরা তোমাদের বহন করেলিাম জাহাজের মধ্যে, |
69-12 : যেন আমরা এটিকে তোমাদের জন্য বানাতে পারি স্মরণীয় বিষয়, এবং শ্রুতিধর কান যেন এটি মনে রাখতে পারে। |
69-13 : সুতরাং যখন শিঙায় ফুৎকার দেওয়া হবে - - একটি মাত্র ফুৎকার, - - |
69-14 : এবং পৃথিবী ও পাহাড় - পর্বত উত্তোলন করা হবে, আর একটিমাত্র ধাক্কায় তাদের চূর্ণবিচূর্ণ করা হবে। |
69-15 : অতএব সেইদিন মহাঘটনা সংঘটিত হবে, |
69-16 : আর আকাশ বিদীর্ণ হবে, ফলে সেইদিন তা হবে ভঙ্গুর; |
69-17 : আর ফিরিশ্তারা এর প্রান্তগুলোয় রইবে। আর তাদের উপরে সেইদিন তোমার প্রভুর আরশ বহন করবে আটজন। |
69-18 : সেইদিন তোমাদের অনাবৃত করা হবে, - - কোনো গোপন বিষয় তোমাদের থেকে গোপন থাকবে না। |
69-19 : তারপর যাকে তার বই তার ডান হাতে দেয়া হবে সে তখন বলবে - - ''নাও, আমার এই বই পড়ে দেখো! |
69-20 : ''আমি নিশ্চয়ই জানতাম যে আমি আলবৎ আমার এই হিসাবের সম্মুখীন হতে যাচ্ছি।’’ |
69-21 : সুতরাং সে থাকবে এক পূর্ণ - সন্তোষজনক জীবনযাপনে - - |
69-22 : এক উঁচু পর্যায়ের জান্নাতে, |
69-23 : যার ফলের থোকাগুলো নাগালের মধ্যে। |
69-24 : ''খাও আর পান করো তৃপ্তির সঙ্গে সেইজন্য যা তোমরা আগেকার দিনগুলোয় সম্পাদন করেছিলে।’’ |
69-25 : আর তার ক্ষেত্রে যাকে তার বই তার বাম হাতে দেওয়া হবে সে তখন বলবে - - ''হায় আমার আফসোস! আমার এই বই যদি আমায় কখনো দেখানো না হতো, - - |
69-26 : ''আর আমি যদি কখনো জানতাম না আমার এই হিসাবটি কী। |
69-27 : ''হায় আফসোস! এইটাই যদি আমার শেষ হতো! |
69-28 : ''আমার ধনসম্পদ আমার কোনো কাজে এল না; |
69-29 : ''আমার কর্তৃত্ব আমার থেকে বিনাশ হয়ে গেছে।’’ |
69-30 : ''তাকে ধরো এবং তাকে বাঁধো, |
69-31 : ''তারপর জ্বলন্ত আগুনে তাকে নিক্ষেপ করো, |
69-32 : ''তারপর তাকে এক শিকলে আবদ্ধ করো যার দৈঘ্য হচ্ছে সত্তর হাত। |
69-33 : ''নিশ্চয় সে বিশ্বাস করত না মহান আল্লাহ্তে, |
69-34 : ''আর সে উৎসাহ দেখাত না গরীবদের খাবার দিতে, |
69-35 : ''সেজন্য আজ তার জন্যে এখানে কোনো অন্তরঙ্গ বন্ধু থাকবে না, |
69-36 : ''আর কোনো খাদ্য থাকবে না ক্ষতনিঃসৃত পুজঁ ব্যতীত - - |
69-37 : ''যা পাপীরা ব্যতীত আর কেউ খায় না।’’ |
69-38 : কিন্ত না, আমি কসম খাচ্ছি যা তোমরা দেখছ তার, |
69-39 : এবং যা তোমরা দেখছ না তারও, - - |
69-40 : যে এটি এক সম্মানিত রসূলের বাণী, |
69-41 : আর এ কোনো কবির আলাপন নয়; সামান্যই তো যা তোমরা বিশ্বাস কর। |
69-42 : আর কোনো গনৎকারের বাক্চাতুরীও নয়, যৎসামান্য যা তোমরা চিন্তা কর! |
69-43 : এ হচ্ছে এক অবতারণ বিশ্বজগতের প্রভুর কাছ থেকে। |
69-44 : আর তিনি যদি আমাদের নামে কোনো বাণী রচনা করতে চাইতেন, - - |
69-45 : তাহলে আমরা নিশ্চয়ই তাকে ডানহাতে পাকড়াও করতাম, |
69-46 : তারপর নিশ্চয়ই তার কন্ঠশিরা কেটে ফেলতাম, |
69-47 : তখন তোমাদের মধ্যের কেউই ওর থেকে নিবৃত্ত করতে পারতে না। |
69-48 : আর নিশ্চয়ই এইটি ধর্মভীরুদের জন্য এক স্মারক - গ্রন্থ। |
69-49 : আর নিশ্চয়ই আমরা তো জানি যে তোমাদের মধ্যে সত্যপ্রত্যাখ্যানকারী রয়েছে। |
69-50 : আর নিঃসন্দেহ এটি অবিশ্বাসীদের জন্য বড় অনুতাপের বিষয়। |
69-51 : আর নিঃসন্দেহ এটি তো সুনিশ্চিত সত্য। |
69-52 : অতএব তোমার মহামহিমান্নিত প্রভুর নামের জপতপ করো। |