জীবনে হাসি-কান্না, দুঃখ-দুর্দশা, ব্যথা-বেদনা, চিন্তা, বিষণ্নতা ও অস্থিরতা থাকবেই। মানুষ দুঃখ, কষ্ট ও হতাশায় ভেঙে পড়ে। এসব কারণে মানুষ অনেক সময় নিজের জীবন বিপন্ন করে ফেলে।রাসুল (স.) উম্মতকে এ থেকে বাঁচার উপায় বের করে দিয়েছেন।
[৩] কোরআনে ইরাশাদ হচ্ছে, মানুষ তো সৃজিত হয়েছে ভীরুরূপে। যখন তাকে অনিষ্ট স্পর্শ করে, তখন সে হা-হুতাশ করে। আর যখন কল্যাণপ্রাপ্ত হয়, তখন কৃপণ হয়ে যায়। তবে তারা স্বতন্ত্র, যারা নামায আদায়কারী। যারা তাদের নামাযে সার্বক্ষণিক কায়েম থাকে। ( সুরা মায়ারিজ ১৮-২৩ )
[৪] রাসুল(স.) যখন কোনো দুঃশ্চিন্তা, বিষন্নতা বা বিপদাপদে পতিত হতেন, তখন তিনি মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট সাহায্য চাইতেন। আল্লাহ তাআলার নিকট রাসুল (স.)-এর সাহায্য প্রার্থনা মুসলিম উম্মাহর জন্য অনুকরণীয় আদর্শ।
[৫] হজরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেন , রাসুল বিপদ-মুসিবতের সময় এ দোয়া পাঠ করতেন- ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল আ’জিমুল হালিম; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুল আ’রশিল আ’জিম; লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বুস সামাওয়াতি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আ’রশিল কারিম।’ অর্থ : ‘আল্লাহ্ ব্যতিত সত্য কোনো মাবুদ নেই, তিনি অতি মহান, অতি সহনশীল। আল্লাহ্ ব্যতিত কোনো সঠিক ইলাহ্ নেই, তিনি বিশাল আরশের মালিক। আল্লাহ্ ব্যতিত সত্য কোনো মা’বুদ নেই, তিনি আসমান-জমিনের এবং মহান আরশের মালিক।’ (বুখারি)
[৬] হজরত আনাস বিন মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (স.) বিপদাপদের সময় এ দোয়া পাঠ করতেন- ‘ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আসতাগিছ।’ অর্থ : হে চিরঞ্জীব! হে সকল বস্তুর রক্ষক! আমি তোমার রহমতের ওসিলায় তোমার সাহায্য প্রার্থনা করছি।’ (তিরমজি)