৮৬ বছর পরে আবারও তুরস্কের ঐতিহ্যবাহী আয়া সুফিয়া মসজিদ জুমার নামাজের জন্য প্রস্তুত। জুমার জামাতে অন্যান্য মুসল্লিদের সঙ্গে যোগ দিতে পারে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।
ইস্তাম্বুলের পুলিশের উদ্ধৃতি দিয়ে জুমার নামাজের জন্য মসজিদ প্রস্তুতের খবর প্রকাশ করেছে দেশটির প্রধান বার্তা সংস্থা আনাদুলো।
ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলি ইয়ালিখায় বলেন, ‘সবাই এখন জুমার নামাজের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে জুমায় অংশ নেয়ার জন্য। এরই মধ্যে দেশটিতে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
গভর্নর বলেন, ‘অন্তত ৫টি আলাদা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে ভিড় এড়িয়ে যাওয়ার জন্য। করোনার বিষয়টি মাথায় রেখেই স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কর্তৃপক্ষ সতর্ক রয়েছে।’
আলি ইয়ালিখায় বলেন, ইস্তামবুলের সময় সকাল ১০টা থেকে মুসল্লিদের আসা শুরু হয়েছে। ১১টি আলাদা বুথ রয়েছে যেখানে মুসল্লিদের প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, তাপমাত্রা যাচাইসহ নানা সতর্কতায় মুসল্লিদের মসজিদ এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।’
শহরের যাতায়াত ব্যবস্থায় নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। নামাজের আগে এবং পরে কয়েকটি রাস্তা বন্ধ এবং বিশেষ যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রত্যেক মুসল্লি যদি নিরাপদ দূরত্ব মেনে চলেন, কোলাকুলি এড়িয়ে যান এবং মাস্ক পরিধান করেন তাহলে করোনা কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান গভর্নর।
আয়া সুফিয়া তুরস্কের একটি শীর্ষস্থানীয় পর্যটন কেন্দ্র। এটি আন্তর্জাতিক পর্যটক এবং তুরস্কের মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়। ১৯৮৫ সালে এটি ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায়।
তুরস্কের শীর্ষ আদালত ১০ জুলাই আয়া সোফিয়াকে ১৯৩৪ সালের তৎকালীন সরকারের যাদুঘরে পরিণত করার আদেশটি বাতিল করেন। এতে আয়া সুফিয়া আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায়। রায়ের কয়েক মিনিটের পরেই প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়্যেপ এরদোগান এটিকে মসজিদ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করার জন্য আদেশ জারি করেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন